প্রায় তিনবার বল বিপক্ষের পোস্টে লেগে ফিরে আসা, আর্মির একটা দুর্দান্ত গোললাইন সেভের পর ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি প্রায় ধরেই নিয়েছিল, শতবর্ষের মরসুমে শুরুটা বোধহয় ড্র দিয়েই শুরু হবে! কিন্তু মোক্ষম সময়েই একটা ফাউল। আর্মির বক্সের বাইরে ডেঞ্জার জোনে ফ্রিকিক। আর সেখান থেকেই নিখুঁত ইনসুইং-এ জাল কাঁপিয়ে দিলেন হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। ৮২ মিনিটে প্রথম গোলের পর অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল করেন লাল-হলুদের তরুণ তুর্কি বিদ্যাসাগর সিং। যার ফলে আর্মি রেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু করল আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের ইস্টবেঙ্গল। শুরু করল শতবর্ষের মরসুমও।
প্রথম থেকেই আর্মির বক্সে আক্রমণ শানাতে থাকে ইস্টবেঙ্গল ফরওয়ার্ড লাইন। কিন্তু সেনাবাহিনীর শক্তপোক্ত ডিফেন্সে বারবার প্রতিহত হয় সামাদ আলি মল্লিক, অভিজিৎ সরকারদের আক্রমণ। ২৫ মিনিটের মাথায় কোলাডোর ফ্রিকিক ফেরে পোস্টে লেগে। রিটার্ন বলে ইস্টবেঙ্গলের ফ্লিকও গোল লাইন সেভ করেন আর্মির ডিফেন্ডার। ২৯ মিনিটে মাঝ মাঠের একটু উপরে বল পান বৈথাং হাওকিপ। অসাধারণ মুভে আর্মি ডিফেন্ডারদের মাটি ধরিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। ইনসাইড, আউটসাইড ডজ করে বল রাখেন সেকেন্ড পোস্টে। আর্মি গোলরক্ষকের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু সেই আক্রমণও ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে। যেই কারণে ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আর্মি রক্ষণে চাপ বাড়াতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম কুড়ি মিনিটেই তিনটি পরিবর্তন করেন কোচ। মাঠে নামান কাশিম আইদারা, পিন্টূ মাহাতো এবং বিদ্যাসাগর সিংকে। ৮০ মিনিটে একা বল পেয়ে তড়িৎ গতিতে বক্সে ঢুকতে থাকেন বিদ্যাসাগর। এগিয়ে আসেন আর্মি গোলকিপার। তাঁকেও ডিঙিয়ে যান ইস্টবেঙ্গল ফরওয়ার্ড। এরপর বিদ্যাসাগরের জার্সি ধরে টানলে গোলকিপারকে লালকার্ড দেখান রেফারি। বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় লাল-হলুদ। সেখান থেকেই বাঁক খাওয়ানো শটে প্রথম গোল করেন কোলাডো। এরপর খেলার অতিরিক্ত সময়ে সামাদের পাস থেকে ২-০ করেন সেই বিদ্যাসাগর সিং। আর তারপরেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গ্যালারি। ২ গোলে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচ জিতেই মরশুম শুরু করল শতবর্ষে পা রাখা ইস্টবেঙ্গল।