কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সময় উদ্বেলিত হয়েছিল দুই বাংলা। বলা হয়েছিল, ম্যাচ শুরুর আগেই ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু এবার সেই রবি ঠাকুরের লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতকে কেন্দ্র করেই শুরু হল বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথের লেখা “আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশ এবং দেশবাসীকে ততটাও ব্যক্ত করতে পারে না। তাই রবিঠাকুরের এই গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত নয়।” এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী তথা এই বাংলার ‘সা রে গা মা পা’-এর প্রতিযোগী নোবেলের। আর তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশিত হতেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অনেকে তাঁর সঙ্গে জামাত–যোগও সন্দেহ করেছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে বাংলাদেশের একটি টিভি সাক্ষাৎকারে নোবেল বলছেন, “আমার সোনার বাংলার থেকে জেমসের গাওয়া বাংলাদেশ গানটা অনেক ভাল। এই গানই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার যোগ্য।” কিন্তু কেন? তাঁর জবাবে নোবেল জানালেন, “রবীন্দ্রনাথের লেখা গান হয়তো রূপক অর্থে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়, কিন্তু জেমসের গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটা দেশের ইতিহাস, আবেগ, ঐতিহ্য হাজার গুন ভালভাবে তুলে ধরে।”
প্রসঙ্গত, ‘বাংলাদেশ’ গানটি লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। গেয়েছেন জেমস। নোবেলের মতে, এই গানের আবেদন অনেক বেশি। সঞ্চালক তাতে বলেন, রবীন্দ্রনাথের গানটি বহু দিন আগে লেখা। সে কারণেই হয়তো তার থেকে জেমসের গানটির আবেদন বেশি হতে পারে। তাতে যদিও সায় দিয়েছেন নোবেল। এও জানিয়েছেন, এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য নাকি ঢাকাতে আন্দোলন হয়েছিল। তবে এসব তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।
এর পরই সোশ্যাল সাইটে তুমুল সোরগোল শুরু হয়। বাংলাদেশের অনেক নাগরিকই প্রশ্ন তুলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এসব বলার সাহস নোবেলের মতো একজন নতুন শিল্পী কোথায় পেলেন? তিনি কি জামাত–হিজবুত তাহিরের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। অনেকে আবার সরাসরি তাঁকে ‘জঙ্গি বলে দাগিয়েছেন। তবে এই বিতর্কের মাঝে নোবেলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।