কুমন্তব্য করায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর জুড়ি মেলা ভার। লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নানা রকমের অশালীন কথা বলার যে ধারা শুরু করেছিলেন এই বিজেপি নেতা তার রেশ এখনও অব্যাহত। কিছুদিন আগেই বুদ্ধিজীবীদের মোদীকে খোলা চিঠি দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি ফের আলগা করেছিলেন তাঁর মুখের রেশ। এবার ফের কুমন্তব্যের ঝড় তুললেন সায়ন্তন। মহিলাদের পুলিশ পেটাতে অস্ত্র তুলে নিতে বললেন এই ‘আদর্শ’ নেতা।
খেজুরিতে তৃণমূল এবং পুলিশকে রুখতে মহিলাদের অস্ত্র তুলে নেওয়ার নিদান দিলেন তিনি। বললেন, “ বাড়িতে লঙ্কার গুঁড়ো তৈরি রাখুন। আর বাড়ির দা গুলোকে ধার দিয়ে রাখুন। যখন তৃণমূলের কর্মী আর পুলিশ যাবে এই সমস্ত অস্ত্রগুলো নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার করুন”। সায়ন্তনের এই মন্তব্য ঘিরে ফের শুরু হয়েছে সমালোচনা। কিভাবে তিনি মহিলাদের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বললেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
তবে এখানেই থামেননি ওই গেরুয়া নেতা। পুলিশকে আটকাতে মহিলাদের অস্ত্র তোলার প্রসঙ্গে সায়ন্তন আরও বলেন, “রাতের বেলা যদি পুলিশ আপনাদের বাড়ি যায়, তা হলে মহিলাদের দিয়ে এফআইআর করান। থানায় এফআইআর না নিলে আদালতের মাধ্যমে তা হবে”। যদিও মাঝরাতে কেন পুলিশ কারোর বাড়িতে অকারণে যাবে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, “ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু প্রকাশ্য সভাতে মহিলাদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার অর্থাৎ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী দিল্লী থেকে ফিরলেই তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। পুলিশের তরফেও সায়ন্তনের মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরবিন্দকুমার আনন্দ।