অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু হল বাঁকুড়ার পুয়াবাগান শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রূপম পালের। স্কুলের ছাত্রের এহেন মৃত্যুতে ছাত্রের বাড়িতে নেমেছে শোকের ছায়া। অভিযোগ, একরত্তি ওই ছাত্রকে স্কুলে বেদম মারধর করায় তার লিভার ফেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত বুধবার। সেই দিন থেকেই ওই একরত্তি ছাত্রের চিকিৎসা চলছিল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরেই গেল সে৷
স্কুলের মাঠ থেকে কবাডি খেলা শেষ করে ক্লাস রুমে ফেরার পর বেঞ্চে বসেই মাথা নিচু করে টেবিলে জিরোচ্ছিল তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র। সেই সময় তার অজান্তেই ক্লাসে ঢুকে গিয়েছিলেন দিদিমণি। তাই অন্যান্যদের মতো সে দিদিমণি ক্লাসে ঢুকে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। আর সেই অপরাধেই ওই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মাথা জোর করে টেবিলে ঠুকে দেন শিক্ষিকা বলে অভিযোগ। শিক্ষিকার এহেন নির্মম অত্যাচারে গুরুতর আহত ওই ছাত্রকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভরতি হতে হয় বলে অভিযোগ। তখন থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল বাঁকুড়ার পুয়াবাগান শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া।
যদিও এসব অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার পতি। তিনি বলেন, “ছাত্রটি অসুস্থ হতেই আমরা হাসপাতালে ভরতি করি।” এদিকে মৃত ওই ছাত্রের বাবা চক্রধর পাল জানিয়েছেন, ‘‘আমি ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে শুনেছি কবাডি খেলা শেষ করার পর আমার ছেলে টেবিলে মাথা রেখে জিরোচ্ছিল। সেই সময় বিজ্ঞানের দিদিমণি ক্লাসে ঢোকেন। ও উঠে না দাঁড়ানোয় শিক্ষিকা ওর মাথা টেবিলে ঠুকে দেন। তারপর থেকেই আমার ছেলে রক্তবমি করতে শুরু করে। স্কুল থেকেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু ছেলের অবস্থা খারাপ জেনেও বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা আমার গাড়ির চালককে সেকথা জানানো হয়নি।”