মাত্র কিছুদিন আগেই নরেন্দ্রপুরে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল চারপাশে। আজ ফের শহরের দুটি আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল দুই প্রৌড়ের। এই ঘটনার খবর সামনে আসতেই শিহরণ চারপাশে।
দক্ষিণ কলকাতার দু’টি আবাসন থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ঝাঁপ দিলেন দুই প্রৌঢ়। একটি হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত এমজি রোডের ডায়মণ্ডসিটি আবাসনের ঘটনা৷ অপরটি দক্ষিণ বেহালা রোডের আনন্দনগরের স্বপ্ননীড় আবাসনের ঘটনা৷ দু’টি ক্ষেত্রেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে হোমিসাইড শাখার পুলিশ আধিকারিকরাও পৌঁছেছে।
সূত্রের খবর, আজ সকাল ৭টা ৪০ নাগাদ ডায়মন্ড সিটি সাউথের টাওয়ার ফোরে আটতলা থেকে ঝাঁপ দেন চুয়ান্ন বছরের প্রমোদ জালান৷ এরপর তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ৷ তদন্তের স্বার্থে যেখান থেকে তিনি ঝাঁপ দিয়েছেন বা পড়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই জায়গা ভাল করে পরিদর্শন করে নমুনাও সংগ্রহ করছেন আধিকারিকরা৷ তবে প্রতিবেশীদের সন্দেহ, ঝাঁপ নয়, আটতলা থেকে তিনি কোনওভাবে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি ৷
এদিকে এই ঘটনার একঘণ্টা পরেই দ্বিতীয় প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয় দক্ষিণ বেহালার স্বপ্ননীড় আবাসনে৷ আটটা চল্লিশ নাগাদ সেখানেও আটতলা থেকেই ঝাঁপ দেন নগেন চন্দ্র ভাওয়াল নামে ৫৪ বছরের অপর প্রৌঢ়। তাঁকেও উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ আত্মহত্যা নাকি অন্য কারণ, খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ৷