আজ শুক্রবার বিজ্ঞানসাধক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিন। তাঁর হাতেই তৈরি বিজ্ঞান কেমিক্যালস। ভারতের প্রথম ওষুধ কোম্পানি। লাভের মুখ দেখা এই সংস্থা ‘মিনিরত্ন’ স্বীকৃতি পাবার দিকে এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই ধাক্কা দিল মোদী সরকার। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত শতাব্দী প্রাচীন বেঙ্গল কেমিক্যালসের বিলগ্নিকরণের পথে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। আজ প্রফুল্লচন্দ্ররায়ের জন্মদিনে বেঙ্গল কেমিক্যাল বাঁচিয়ে রাখার শপথ নিচ্ছে গোটা বাংলা।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, বেঙ্গল কেমিক্যালস, ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে বেঙ্গল কেমিক্যালকে বাঁচাতে পানিহাটিতে সংস্থার গেট থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করেছে। মানিকতলার সংস্থার অফিসের সামনে একটি সভাও হবে। তাঁদের বক্তব্য, ‘বিশ্ববিশ্রুত রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যালকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। পরপর তিন বছর এই সংস্থা লাভ করেছে। কিছুতেই বিলগ্নীকরণ হতে দেব না। এখানে উৎকৃষ্ট মানের সমস্ত জিনিস তৈরি হয়’।
১৮৬১ সালের ২ আগস্ট প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্ম। এটি তাঁর ১৫৮ তম জন্মবার্ষিকী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী জানান, হুগলীর গভর্নমেন্ট স্কুলে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের একটি প্রতিকৃতির উদ্বোধন হবে। পানিহাটিতে বেঙ্গল কেমিক্যালের পাশে অভিযাত্রি সঙ্ঘ প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের একটি মূর্তি স্থাপ্ন করেছে। তিনি জানান, ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি তাঁর অবদানের ওপর একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছে। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের নামাঙ্কিত একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। সেখানে তাঁর ব্যবহৃত খাট, কলম, লাঠি, গবেষনার নানা যন্ত্রপাতি, পোশাক রয়েছে।
গুরুসদয় রোডের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছেন বেঙ্গল কেমিক্যালসের কর্মীরা। নিমতলা শ্মশানে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় কাননে বেঙ্গল কেমিক্যালসের তরফে একটি সুন্দর ব্রোঞ্জ মূর্তি বসানো হয়েছে। জায়গাটি দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে কলকাতা পুরসভা।