বাংলার ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্যখাতের উন্নতিকে পাখির চোখ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই একের পর এক জনদরদী স্বাস্থ্যপ্রকল্প পেয়েছেন বাংলার মানুষ। পেয়েছেন সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যের চিকিৎসা, ওষুধ। পেয়েছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এবার সরকারী হাসপাতালগুলিতে মা এবং শিশুদের চিকিৎসা আরও উন্নত করার দিকে নজর দিতে চলেছে মমতার সরকার।
স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব খুলেছে। এর মধ্যে ৯টি কেন্দ্র ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গর্ভবতী মহিলাদের সুবিধার্থে ১২টি ওয়েটিং হাট খোলা হয়েছে। দফতর আর পাঁচটি এইরকম কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজ্য সরকার ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে স্বাস্থ্য দফতরের জন্য বরাদ্দ করেছিল ৮৭৭৩.৫২ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ সালে তা বাড়িয়ে করেছে ৯৫৫৬.৬৯ কোটি টাকা।
সারা রাজ্যের ৬৮টি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গর্ভবতী মহিলা, প্রসূতি ও সদ্যোজাত শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নবজাতক এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমানো। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এই বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্য সরকার ২০১৯-২০ সালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র উন্নত করতে ১৩২.৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সবসময় স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্মসূচীতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর দিয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রতি বছর ৩০০০-এর বেশী সন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় লেবার রুম, অপারেশন থিয়েটার, শৌচালয়, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ সবকিছুর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে যখন তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে তখন প্রতি ১ লক্ষে মাতৃমৃত্যু হত ১১৩ যা ২০১৮ সালে কমে ১০১ হয়েছে যেখানে জাতীয় গড় ১৩০।রাজ্যে প্রতি ১০০০ শিশুর জন্মে ২৫জন শিশু মারা যায় যেখানে জাতীয় গড় ৩৪। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ২০১০ সালে ছিল ৬৫ যা ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৯৭.৫।