আগেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছে। এবার সাফল্য পেল রাজ্য সমবায় দপ্তর। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমবায় দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই খবর আগেই ঘোষণা করেছিলেন। এবার তাতেই সীলমোহর লাগাল কেন্দ্র।
নাবার্ডের (ন্যাশনাল ব্যঙ্ক ফর এগরিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বাংলার সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ৯৭ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দিয়ে তাদের স্বনির্ভর করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবায় দপ্তর জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালে লক্ষাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
নাবার্ডের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় মোট ২ লক্ষ ১৮ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে।
তার মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার গোষ্ঠীকে বাছাই করে ঋণ দেওয়া হবে। নাবার্ডের হিসেবে অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৯৭ হাজারের কিছু বেশী স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই ঋণ পেয়েছে। সমবায় দপ্তরের থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি দু-শতাংশ হারে এবং কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে মাত্র চার শতাংশ হারে ঋণ পায়। এর ফলে কৃষকদের আর মহাজনের থেকে চড়া হারে ঋণ নিতে হবে না।
প্রতি বছর সমবায় সপ্তাহ পালন করার পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উন্নয়নে বাংলা অনেক এগিয়ে আছে। আাগামীদিনে আরও বেশী সংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দিয়ে তাদের আর্থিক দিক থেকে স্বাধীন করে তোলা হবে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ অনেক ত্বরান্বিত হবে।