শতবর্ষে শতরূপে সাফল্য লাভ করুক, ‘জয়তু ইস্টবেঙ্গল’। এক আবেগের শতবর্ষ উদযাপনে মেতেছে বাংলা তথা আপামর ইস্টবেঙ্গলপ্রেমী মানুষ। গত রবিবার মশাল মিছিলের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপন। আজ, বৃহস্পতিবার ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বিকেলে চাঁদের হাট বসতে চলেছে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এ দিন সকালেই শহরে চলে এসেছেন ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব। হরিয়ানা হ্যারিকেনকে এ শতবর্ষের ভারত গৌরব সম্মান দিচ্ছে লাল-হলুদ। জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হবে প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তথা সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী-সহ একাধিক তারকার। গত মরসুমের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাবেন ডানমাওয়াইয়া রালতে। শতবর্ষে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসবে সম্মানিত হবেন গৌতম ভট্টাচার্য।
১৯২০ সালের পয়লা আগষ্ট কলকাতার বুকে বিশিষ্টজনের উদ্যোগে যে ফুটবল ক্লাবের জন্ম নিল তাঁর নাম ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের যাত্রার ধ্বনি অবিরাম উৎসারিত হতে আজ শতবর্ষের দোড়গোড়ায় করাঘাত করছে। আগামীবছরের ১লা আগষ্ট শতবর্ষে মুকুটটি মস্তকে শোভাপাবে। যদিও কলকাতার বুকে গুটিকয়েক ফুটবল ক্লাব শতবর্ষের সীমানা পার করেও তাঁর প্রায় অস্তমিত।
সব শেষে একটা মজার গল্প, ১৯৭৩ সালে ইডেন উদ্যানে ইস্টবেঙ্গলের সাথে লীগের খেলা বুকে একরাশ আশা নিয়ে মাঠে হাজির এবং মাঠে প্রায় ৭০ শতাংশই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। মোহনবাগান তখন ২-১ গোলে পিছিয়ে তাই নিরাশ হয়ে খেলা শেষ হবার মিনিট দশেক আগে বেরিয়ে যাচ্ছে সকলে, তখনই গ্যালারি থকে উড়ে আসে এক মধুর টিপ্পনী, ‘আরে আরে যান কই খাড়ায়ে যান ছাড়কাস অহনও বাকী আছে’।