রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজ দ্রুতগতিতে করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজের জন্য টাকা যেন কোনও অন্তরায় না হয়, তাই তিনি চান। সে কারণেই রাজ্য সরকারের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৭৫ শতাংশ টাকা ছেড়ে দিল অর্থ দপ্তর। ১ এপ্রিল, নতুন আর্থিক বছর শুরুর প্রথম দিনে ৩৩ শতাংশ টাকা ছাড়া হয়েছিল।
বুধবার ছাড়া হল আরও ৪২ শতাংশ টাকা। আজ, বৃহস্পতিবার সেই টাকা সব দপ্তরে চলে যাবে। রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি নির্দেশিকা (নং-৫৫০-এফবি) জারি করে ওই টাকা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রতিটি দপ্তরকে তার কাজের অগ্রগতি দেখে ৯০ বা ১০০ শতাংশ টাকা ছাড়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মচারীদের বেতন, পেনশন, অনুদান, ওষুধ কেনা, বিদ্যুতের বিল, টেলিফোন বিল সংক্রান্ত যে খরচ হয়, তার পুরো, অর্থাৎ ১০০ শতাংশ টাকাই ছাড়া হয়েছে। আগে এটি নন প্ল্যান ফান্ড হিসেবে বাজেটে উল্লেখিত ছিল। তা পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনিক খরচ ফান্ড। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত প্রশাসনিক খরচ ফান্ডের জন্য ৭০ শতাংশ টাকা ছাড়া হয়েছে। তা প্রতিটি দপ্তরের বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার ভবিষ্যতের জলসঙ্কটের কথা মাথায় রেখে জলতীর্থ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে বর্তমান অর্থবর্ষে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই জল সংরক্ষণের জন্য এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ টাকা ছাড়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর এবং বন দপ্তরকে। তারাই জলতীর্থ তৈরি করবে।
পূর্ত দপ্তর, পঞ্চায়েত দপ্তর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর, সেচ দপ্তর, পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তরের মতো যেসব দপ্তর নির্মাণ কাজে যুক্ত, তারা আগে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত নিজেরা স্কিম তৈরি করে খরচ করতে পারত। এখন তা বাড়িয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর জন্য আর অর্থ দপ্তরের অনুমোদন লাগবে না। ওই দপ্তরের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইসররা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এর ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে গতি বাড়বে বলে মনে করছেন অফিসাররা। সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের পর কোনও প্রযুক্তিগত বা অন্য কোনও পরিবর্তন করা যাবে না।