কারোর অভিযোগ, রাস্তার অতিরিক্ত আলো জানলা দিয়ে বেডরুমে ঢুকে ঘুম কাড়ছে, আবার কারোর সমস্যা, রাস্তায় আলো নেই বলে। আর এই সমস্ত অভাব অভিযোগ শুনছেন কলকাতার মেয়র। যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছেন সমস্যা মেটানোরও। বুধবার ‘টক টু মেয়র’–এ ফোন করে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকে এই অভিযোগ জানালেন পর্ণশ্রীপল্লীর বাসিন্দা চারুশীলা বসু।
এই প্রথম মেয়ককে রাস্তায় আলো থাকার কারণে অভিযোগ শুনতে হল তাঁকে। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চারুশীলা বসুর অভিযোগ, রাস্তার জোরালো আলো একেবারে ঢুকে পড়ছে বেডরুমে। রাতের ঘুমে ব্যাঘাত তৈরি করেছে। পর্দা দিয়েও আলো আটকানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। জোরালো আলো সরানোর প্রস্তাবও দেন। ‘টক টু মেয়র’–এ এই প্রথম আলো থাকা নিয়ে সমস্যা শুনলেন মেয়র। ৫৮৬, পর্ণশ্রীপল্লীর বাসিন্দাকে পর্দা দিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। রাতে জানলা বন্ধ করে রাখারও প্রস্তাব দেন। চারুশীলা দেবীর বক্তব্য, পর্দা দিয়ে আলোর তীব্রতা আটকানো যায় না। আর এই গরমে জানলা বন্ধ করেও তো রাখা যায় না। এ অবস্থায় মেয়র তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং সংশ্লিষ্ট দফতরকে রাস্তার ওই বাতিস্তম্ভের আলো পাল্টে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কোথাও আবার রাস্তায় আলো নেই বলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর এ বড় যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ বলে জানান মেয়র নিজেও। নিউ আলিপুরের জে ব্লকের বাসিন্দা বাড়ির সামনের রাস্তায় আলো না জ্বলার অভিযোগ জানান। অবিলম্বে নিউ আলিপুরের ওই রাস্তায় আলো লাগানোর নির্দেশ দেন মেয়র। তবে পুর আধিকারিকদের কাছেও রাস্তার আলোয় ঘুম কাড়ার অভিযোগ অভিনব। পুরসভার একাংশের বক্তব্য, ‘সাধারণত রাস্তার আলো নেই, জ্বলছে না, এরকম অভিযোগেই অভ্যস্ত পুর কর্তৃপক্ষ। রাস্তার আলোর জন্য সমস্যার অভিযোগ বোধহয় এই প্রথমই শুনল পুরসভা’।
অন্যদিকে এদিন বলরাম ঘোষ স্ট্রিটের মন্দির বাঁচাতে ফোন করেন মানবেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ। ১৩৩ বছরের পুরনো মন্দির কোনও মতে চালাচ্ছেন ৮৪ বছরের বৃদ্ধ দম্পত্তি। মানবেন্দ্রবাবুর অভিযোগ, মন্দির সংলগ্ন দেবোত্তর জমিতে ভাড়া দিয়ে এতদিন মন্দিরের খরচ যা হোক করে চলে যাচ্ছিল। এবার সেই জমি জবরদখল করে রাখা হয়েছে। এরপর মন্দিরের খরচ জোগানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন মন্দিরটি হেরিটেজের আওতায় ফেলার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে দেন মেয়র। বৃহস্পতিবারই হেরিটেজ দফতর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ওই মন্দির ও সংলগ্ন দেবোত্তর জমি ঘুরে দেখার নির্দেশ দেন।