বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের সাগরেদরা যে বাড়ি বয়ে এসে তাঁদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, প্রাণে মারার ভয় দেখাচ্ছে, তাতে প্রাণঘাতী হামলার একটা আশঙ্কা ছিলই উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। সেই আশঙ্কা থেকেই এ মাসের ১২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে যেমন চিঠি লিখেছিলেন ধর্ষিতার মা, বোন ও কাকিমা, তেমনি শীর্ষ স্থানীয় সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ আধিকারিকদের গত এক বছর ধরেই একের পর এক চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। প্রত্যেক চিঠিতে তাঁদের একটাই অনুরোধ ছিল, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হোক তাঁদের সবাইকে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে মোট ৩৬টি সাহায্য প্রার্থনার চিঠি লিখেছেন ওই নির্যাতিতার পরিবার। তবে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার ও তাঁর দলবলের থেকে প্রাণের আশঙ্কা আছে এই মর্মে লেখা একটি চিঠিরও কোনও জবাব আসেনি। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মামা জানিয়েছেন, ‘কেউ আমাদের কোনও সাহায্য করেননি। পুলিশ আমাদের কোনও অভিযোগ শোনেনি। বার বার বলেছিলাম যে বিধায়কের দলবল আমাদের প্রাণে মারা হুমকি দিচ্ছে। কোনও লাভ হয়নি। আর সেই কারণেই মরিয়া হয় শেষ পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতিকে ১২ জুলাই চিঠি লিখেছিলাম আমরা।’
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত সেঙ্গারের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা দায়ের করার পরেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকালই জানা গেছে যে, সেঙ্গার ওই নির্যাতিকাকে বারবার হুমকিও দিচ্ছিলেন। সেই কারণেই তাঁর হাত থেকে বাঁচতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পর্যন্ত চেয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করেনি। এমনকি এসপি’র দ্বারস্থ হয়েও কোনও ফল পাননি ওই তরুণী। স্বভাবতই এই খবর সামনে আসতে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এমনিতেই বিরোধীদের চাপে পড়ে অভিযুক্ত বিধায়ক সেঙ্গারকে বরখাস্ত করেছে বিজেপি। এবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রুষ্ট দেশের শীর্ষ আদালতও।