বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে একের পর এক নারী নির্যাতন কান্ডে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একদিকে উত্তর প্রদেশে উন্নাওয়ের ঘটনায় যখন তোলপাড় হয়েছে দেশ, ঠিক সেইসময়েই ঝাড়খন্ডের টাটানগরে এক তিন বছরের শিশুকন্যার ওপর হল নৃশংস হত্যাকান্ড। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের টাটানগরে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের ওপরে মায়ের সঙ্গে শুয়েছিল তিন বছরের শিশুকন্যা। সকালে মা জেগে উঠে দেখেন মেয়ে নেই। অবশেষে গত মঙ্গলবার স্টেশন থেকে চার কিলোমিটার দূরে ঝোপের মধ্যে পাওয়া যায় শিশুটির ছিন্নভিন্ন দেহ। তার মাথাটি কেটে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। দেহটি রেখে দিয়েছিল প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে। মাথাটি এখনও পাওয়া যায়নি। খুনীদের নৃশংসতা দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টাটানগরে।
জানা গেছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে পাশে নেই দেখে তার মা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। এই মহিলা আগে থাকতেন পুরুলিয়ায়। নিজের স্বামীকে ছেড়ে অপর একটি লোকের সঙ্গে চলে এসেছিলেন টাটানগরে। মহিলা প্রথমে সন্দেহ করেন, সেই লোকটিই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছে। পুলিশ তাঁর অভিযোগ শুনে লোকটিকে গ্রেফতার করে। পরে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ঘুমন্ত শিশুটিকে কোলে নিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সেই ফুটেজ দেখেই পুলিশ অপরাধীকে ধরতে পারে। তাঁকে জেরা করে আরও দু’জন অপরাধীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
রেল পুলিশের কর্তা এহতেশাম ওয়াকোয়ারিব জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শুক্রবার শিশুটিকে খুন করা হয়। খুনের আগে তার ওপরে অত্যাচার করা হয়েছিল। সেজন্য তার সারা দেহে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। পুলিশ সূত্রের খবর, এই তিনজন দুষ্কৃতীরই বয়স ৩০-এর কোঠায়। তাঁরা স্বীকার করেছে, শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর গলা টিপে খুন করেছিল। পরে তার মাথাটি কেটে নেয়। মাথাটির সন্ধান পাওয়ার জন্য স্নিফার ডগ কাজে লাগানো হচ্ছে।