বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। এবছর পুজোর আগেই এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। গঙ্গাবক্ষে ভাসমান রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করার সুযোগ আনছে পর্যটন দফতর। এর জন্য দুটি হাউসবোটকে রেস্তোরাঁ হিসেবে তৈরি করে গঙ্গায় নামানো হচ্ছে। পুজোর আগে থেকেই চালু হবে এই হাউসবোট তথা রেস্তোরাঁ। যার মধ্যে একতলায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বসার জায়গা থাকবে। সেখানে ৪০ জন বসতে পারবেন। আর ওপেন এয়ার রেস্তোরাঁ হবে হাউসবোটের ছাদে। সেখানে ২০ জন বসতে পারবেন। মোট একসঙ্গে ৬০ জন বসতে পারবেন ওই হাউসবোটে। ওই ভাসমান রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য অনলাইন বুকিংয়ের সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। wbtdcl.com-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে বুকিং করা যাবে। তবে বাবুঘাটেও স্পট বুকিংয়ের সুযোগ থাকবে।
পর্যটন দফতরের বিভিন্ন বিষয় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের অন্যতম ফল হল ভাসমান রেস্তোরাঁ ও কনফারেন্স হাউসবোট। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রতিটি ট্যুরিস্ট লজ তথা পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সেগুলিতে থ্রি স্টার পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের হাতে থাকা ৩৩টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টির কাজ জোরকদমে চলছে। আগামী মাসে তার কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ বা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ওই সব ট্যুরিস্ট লজে বুকিং শুরু হবে বলে পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে পুজোর আগে যে দুটি ভাসমান রেস্তোরাঁ গঙ্গায় থাকবে তার একটি বাবুঘাট বা তার সংলগ্ন এলাকায় ঘুরবে। বাবুঘাট থেকে উঠতে হবে। অপরটি চন্দননগর, বারাকপুর প্রভৃতি এলাকার কাছে গঙ্গায় থাকবে। ওই সব এলাকার ঘাট থেকে হাউসবোটে উঠতে হবে। শনিবার ও রবিবার সারাদিনই ওই ভাসমান রেস্তোরাঁ চালু থাকবে। বাকি পাঁচটি কাজের দিনে বেলার দিকে ওই হাউসবোট রেস্তোরাঁ চালু থাকবে। বাঙালি থেকে মোগলাই খানা- সবই সেখানে পাওয়া যাবে। ক্রেতাদের পছন্দমতো আইটেম নিয়ে তৈরি হচ্ছে মেনু লিস্ট। রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেড ওই দুটি রেস্তোরাঁ চালাবে। গঙ্গাবক্ষে এই রেস্তোরাঁর খুবই চাহিদা থাকবে বলে মনে করছেন পর্যটন দফতরের কর্তারা।