নিখোঁজ হওয়ায় প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর মেঙ্গালুরুর নেত্রাবতী নদী থেকে উদ্ধার করা হয় হয়েছে ‘ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের দেহ। তবে ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে আত্মহত্যার তথ্যকে আমল দিচ্ছে না পুলিশ। এদিনই তাঁর ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এনার মৃত্যু নিয়ে কর্ণাটক তো বটেই, গোটা দেশে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীদের অনেকেই বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতিকেই দায়ী করছে। এই বিষয় এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিল্পপতি জিভি সিদ্ধার্থর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ে শিল্পপতিদের প্রবল চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আত্মহত্যার এই ঘটনাকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারকে জানিয়েছেন সমবেদনা।
ওই পোস্টে মমতা লিখেছেন, ‘জি ভি সিদ্ধার্থের শেষ চিঠি থেকে জানতে পারছি, তাঁকে বিভিন্ন এজেন্সি প্রবল চাপ এবং হেনস্থার মুখে ফেলছিল। এই কারণেই শান্তিপূর্ণভাবে তিনি ব্যবসা চালাতে পারছিলেন না’। এরপর মমতা লিখেছেন, ‘আমি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়েছি, দেশের সেরা শিল্পপতিদের প্রবল চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বাকিরা তেমনই চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য হচ্ছেন’।
এই প্রেক্ষিতে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল ঘোড়া কেনাবেচা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থার শিকার বলে ওই পোস্টে অভিযোগ করেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘একদিকে দেশের বৃদ্ধি যেখানে শেষ ৫ বছরে সর্বনিম্ন স্তরে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এই পরিস্থিতিতে অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরি থেকে বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া থেকে রেলওয়ে, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ থেকে দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট, সবকিছু বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার যেন হিড়িক লেগে গিয়েছে, অভিযোগ মমতার। সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি বিপদের মুখে, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব এসে পড়ছে সাধারণ মানুষের গায়ে’।
এরপর কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে মমতা আবেদন জানিয়েছেন, ‘আপনারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন যখন, তখন শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করে মানুষকে এটা বোঝাতে হবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করা আপনাদের উদ্দেশ্য নয়। না হলে এটা আমাদের দেশের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দেবে’।