জাতপাত নিয়ে রাজনীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে গোটা দেশে। মানুষের সহনশীলতা আজকাল এতটাই নিচে নেমেছে যে, ভিন জাতের মানুষের হাত ধরে আসা খাবার পর্যন্ত বাতিল করা হচ্ছে। এটা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। জাতপাত তো মানুষে মানুষে হয়। খাবারের কোনও জাত হয় নাকি? গোটা দেশের জনগণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। কারণ এই দেশেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
অ্যাপ-নির্ভর খাদ্য সরবরাহ সংস্থা জ্যোম্যাটোয় খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি যখন জানতে পারলেন সেই খাবারটি নিয়ে আসছেন একজন অ-হিন্দু যুবক, তখন সেই অর্ডার বাতিল করে দিলেন। এই ঘটনা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কারণ একদিকে তিনি সরাসরি জাতপাতের বৈষম্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। আবার অন্যদিকে এই বৈষম্য করে তিনি একজনকে অপমানও করেছেন। তবে জ্যোম্যাটো তাঁকে উচিত শিক্ষা দেয়। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। টুইটারে এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে।
বিষয়টা ঠিক কী হয়েছে? জ্যোম্যাটো সূত্রে খবর, অমিত শুক্লা নামে এক ব্যক্তি জ্যোম্যাটো–তে খাবার অর্ডার করেন। তারপর টুইট করে কিছুক্ষণ পর জানিয়ে দেন, তিনি খাবারের অর্ডারটি বাতিল করছেন। কারণ তিনি জানতে পেরেছেন খাবারটি একজন অ–হিন্দু যুবক নিয়ে আসছেন। পাল্টা জ্যোম্যাটোর পক্ষ থেকে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা খাবার নিয়ে যাওয়া রাইডার পরিবর্তন করতে পারবেন না। এবং অর্ডার বাতিল করার জন্য টাকাও ফেরত দিতে পারবেন না।
তখন অমিতবাবু পাল্টা টুইট করে জানান, তাঁকে খাবার নিতে জোর করতে পারে না সংস্থাটি। টাকা ফেরত দিতে হবে না। শুধু অর্ডারটি বাতিল করলেই হবে। এই টুইটের পর অমিত শুক্লাকে মোক্ষম টুইট করে জ্যোম্যাটো অ্যাপ–নির্ভর খাদ্য সরবরাহ সংস্থা। সেখানে তাঁরা লেখেন, ‘খাবারের কোনও জাত–ধর্ম হয় না। খাবার নিজেই একটা ধর্ম।’ এই টুইটের পর মুখে কুলুপ আঁটতে বাধ্য হয় অমিত শুক্লা নামে ক্রেতাটি। ইতিমধ্যেই জ্যোম্যাটোর এই টুইট ৮০০ রিটুইট হয়েছে। আর দেড় হাজার লাইক ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরপরেই জ্যোম্যাটো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।