রাজ্যের অচলাবস্থা কাটাতে বারবার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইবারও তার অন্যথা হল না। তাঁর হস্তক্ষেপেই নদিয়ায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতে কর্মী নিয়োগে ছাড়পত্র দিল অর্থদপ্তর। খুব তাড়াতাড়িই সফল কর্মপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রও পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু। এই খুশির খবরে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের মিষ্টি-জল খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান জেলা পরিষদের সভাধিপতি। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় আপ্পুত কর্মপ্রার্থীরা। নদিয়ার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করেছেন ১২১ জন কর্মপ্রার্থী। ওয়েস্টিং লিস্টে নাম রয়েছে আরও সত্তর জনের। কিন্তু কিছু কারণের জন্য তাঁদের কাছে নিয়োগপত্র পৌঁছায়নি। তাই কর্মপ্রার্থীরা অনশনে বসেন। খবর পাওয়া মাত্রই মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের আলোচনার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যেতে বলা হয় আন্দোলনরত কর্মপ্রার্থীদের। এদিন সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে আন্দোলনরত কর্মপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও কিন্তু অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মপ্রার্থীরা। শেষপর্যন্ত বুধবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু অর্থদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তখন অনশন প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। জেলা পরিষদের ভবনের সামনে শুরু হয়ে যায় আবির খেলা।
নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু জানিয়েছেন, ‘অর্থমন্ত্রকের অনুমোদন পেয়ে গিয়েছেন। তবে সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। দু-একদিনের মধ্যে ব্লকে ব্লকে সফল কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।’ আশ্বাস দিয়েছিলেন, কথাও রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।