হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। এই নামটা এমন এক নাম, যা ময়দানের সমস্ত ক্লাব-সমর্থকদের শ্রদ্ধা আদায় করে নেয়। অবসরের এত বছর পরেও তিনি রয়ে গেছেন সবুজ-মেরুন জনতার মনে। সমর্থকরা তাঁকে মনে রাখলেও কর্তারা কি বেমালুম ভুলে গেলেন সবুজ-তোতাকে? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, আটচল্লিশ ঘণ্টাও হয়নি সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে মোহনবাগান দিবস। এর মধ্যেই ফেসবুকে নিজের হতাশা ও দুঃখের কথা জানালেন ‘সবুজ তোতা’ হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো। মোহন জনতার প্রাণ ভ্রমরা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “খেলা ছাড়ার পর মোহনবাগানে আমি নিজের গুরুত্ব খুঁজে পাইনি। কখনও কোনও অনুষ্ঠানে কর্তারা আমায় ডাকেননি। দুঃখ হয় এটা ভেবে, এত ট্রফি দেওয়ার পরও আমার কোনও গুরুত্বই নেই।” ব্যারেটোর এই আক্ষেপ নিয়ে মোহনবাগান কর্তা সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এটা একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। ক্লাব ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবে।”
নিজের ক্যারিয়ারে অনেকটা সময় তিনি খেলেছেন মোহন বাগানে। বাগান সমর্থকরা বলতেন, যার কেউ নেই তার ব্যারেটো আছে। একার দক্ষতায় কত বড় ম্যাচের রঙ যে বদলে দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। গোলের পর দু’হাত আকাশের দিকে তুলে ছুটে যেতেন কর্ণার ফ্ল্যাগের দিকে। সবুজ-মেরুন গ্যালারি বলত, ‘ব্যারেটো আমাদের মুক্তিদাতা।’ অবসর নেওয়ার পর ফুটবলের নানান কাজে এ দেশেই থাকেন ব্যারেটো। কিন্তু মোহনবাগান তাঁকে না ডাকায় অপমানিত প্রাক্তন এই তারকা। ময়দানের অনেকেই মনে করেন, অনেক বিদেশি খেলোয়াড় এসেছেন ময়দানে, কিন্তু ব্যারেটো যে তাগিদ নিয়ে ফুটবল খেলেছেন বছরের পর বছর, তা কেউ করেননি।
ব্যারেটোর এই পোস্টেও দেখা গেছে সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা আবেগ। উপচে পড়ছে তাঁর প্রতি ভালোবাসা। যে আবেগ, যে ভালোবাসা খেলার সময় পেয়েছিলেন ব্রাজিলীয় তারকা, সেই ভালোবাসার কিছুটা যদি কর্মকর্তারা দেখাতেন, তাহলে হয়তো এভাবে কষ্ট পেতে হতো না সবুজ-তোতাকে। সমর্থকরা চাইছেন, ব্যারেটোকে সম্মান দিক ক্লাব। কথা বলুক দ্রুত। ক্লাব-কর্তারা শুনছেন?