রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলার মানুষের শ্রীবৃদ্ধিতে সামাজিক প্রকল্পে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসী যাতে স্বচ্ছন্দে থাকে তার জন্য একে একে এনেছেন বাংলার বাড়ি, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, রূপশ্রী, ২ টাকা কেজির চাল, সবুজ সাথীর মতো একাধিক প্রকল্প। আর এই সমস্ত প্রকল্পের উপভোক্তা কারা, সে তথ্য অবশ্য রয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের হাতেই। তবে এই সমস্ত প্রকল্পের ফাঁকফোকর দিয়ে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। কেউ বলেছেন, আদতে যার পাওয়ার কথা এই প্রকল্পের সুবিধা তিনি পাননি, বরং কাটমানি দিয়ে অন্য কেউ হাতিয়ে নিয়েছে সুবিধা। এই সমস্ত প্রকল্পের অন্দরে রয়েছে বিপুল টাকার খেলাও। এর জেরেই এবার সরকারি সামাজিক প্রকল্পে উপভোক্তাদের তথ্যভান্ডার তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের তরফে যে সমস্ত প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে তার সমস্ত উপভক্তাদের তথ্য দিয়ে শীঘ্রই তৈরি হবে এক বিশাল তথ্য ভাণ্ডার। অর্থাৎ, আলাদা আলাদা দফতরের কাছে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে তার সবটা নিয়ে আসা হচ্ছে এক ছাতার তলায়। সমস্ত দফতরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। সেখানে সমস্ত উপভোক্তার ইউআই নম্বর, ঠিকানা, বয়স, ফোন নম্বর-সহ যা যা তথ্য রয়েছে তা এক জায়গায় করা হবে। এর ফলে সুবিধা এটাই। কোথাও থেকে কোনও রকম দুর্নীতির অভিযোগ এলে, উপর মহল থেকে তার দেখভাল করা হবে। এর ফলে রোধ করা যাবে নিচু তলায় সরকারী প্রকল্পে দুর্নীতি বা টাকা খাওয়ার মতো কোনও রকম দুস্কর্ম।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, সদ্য রাজ্যবাসীর অভিযোগ শুনতে ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বর চালু করেছেন মমতা। এর জেরে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ থেকে শহর গোটা রাজ্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের অভিযোগ শোনাতে। সেখানে কাটমানি থেকে শুরু করে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা খাওয়া রয়েছে সবটাই। এহেন অবস্থায় দুর্নীতি ঠেকাতে সমস্ত তথ্য নিজের দফতরের আওতায় আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।