টোকিও অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্টিক্স ফ্লোরে কি দেখা যাবে দীপা কর্মকারকে? আশার কথা শোনাতে পারছেন না ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্টের কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রি-হ্যাব চলছে, তবে তা অনেকটাই সময়সাপেক্ষ। ফলে জোর দিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। কোচের কথায়, ‘‘দীপার রি-হ্যাব চলছে এবং তা শেষ হতে আরও কিছু সময় লেগে যাবে।’’
জার্মানিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামতে না পারলে আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকে নামা সম্ভব হবে না দীপার। কারণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই যোগ্যতাঅর্জন করতে হবে অলিম্পিকের জন্য। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী বলছিলেন, ‘এখনই কিছু বলতে পারছি না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হচ্ছে। পুরো সুস্থ না হলে ঝুঁকি নেব না। সুস্থ হয়ে গেলে ডাক্তার ও ফিজিওর সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ ত্রিপুরার মেয়েটি রিও অলিম্পিকে একটুর জন্য ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া করেছিলেন। তাই ২০২০ অলিম্পিকে দীপা না নামতে পারলে পদক জয়ের সম্ভাবনা কমবে ভারতের।
প্রসঙ্গত গত মার্চে হাঁটুতে চোটের পরেই ছিটকে গিয়েছেন ত্রিপুরার জিমন্যাস্ট। গত মাসে সেই কারণে মঙ্গোলিয়ায় এশীয় জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি দীপা। সেই প্রতিযোগিতা থেকে ব্রোঞ্জ জেতেন প্রণতি নায়েক। বিশ্বেশ্বর নন্দী বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে জোর দিয়ে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মেনেই কাজ চলছে। দীপা সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়ে উঠতে পারলে আমি কোনও রকম ঝুঁকি নিতে পারছি না। ও সুস্থ হলে আবার চিকিৎসক এবং ফিজিয়োর সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’ হাতে রয়েছে মাত্র এক বছর। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে দীপা কি যেতে পারবেন টোকিও অলিম্পিক্সে? তিনি কত দ্রুত ফ্লোরে ফিরতে পারবেন? এই দুই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন সকলে। দীপার কোচ বলেছেন, ‘‘ও ঠিক কবে ফিরবে, সেটা সম্পর্কেও আমার কিছু জানা নেই। আমি কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারব না। আগে রি-হ্যাব শেষ হোক। তা হলেই সব কিছু স্পষ্ট হবে। তার আগে কিছু বলা যাবে না। দীপা এক শতাংশ ব্যথা অনুভব করলে ঝুঁকি নেব না।’’