মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই নতুনভাবে ধরা দিয়েছেন মানুষের কাছে। কখনও তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতায় উজ্জীবিত হয়েছে মানুষ, আবার কখনও তাঁর ধীর লয়ে বক্তব্যও মানুষের মনে সাড়া ফেলেছে। নিজের হাতে গড়া দলকে তিনি সবসময় সন্তানের মতো ভালোবেসেছেন। নতুন মোড়কে মুড়ে দলের মধ্যে এনেছে অনেক পরিবর্তন। তেমনই বাংলাকে সাজিয়েছেন প্রতিনিয়ত নতুনভাবে। আর সোমবার তিনি আর একটি চমক এনেছেন। আর তার সাফল্য এসেছে দিন ঘুরতে না ঘুরতেই।
সোমবার নজরুল মঞ্চ থেকে তিনি বাংলার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের এক নতুন ধারা চালু করেছেন। একটি ফোন নম্বর ও একটি ওয়েবসাইট দিয়ে জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের। যেকোনো রকম অসুবিধার কথা এখন সহজে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাওয়ার এই অভিনব উদ্যোগে সাড়া মিলেছে অভাবনীয়। ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই সুপারহিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা নতুন মোড়কের রাজনৈতিক ক্যাম্পেন।
‘দিদি কে বলো’ ক্যাম্পেন চালুর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ এবং সমস্যার কথা জানালেন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ। শুধু তাই নয় www.didikebolo.com ওয়েবসাইটে নিজের বক্তব্য নথিবদ্ধ করলেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। একদিনের মধ্যে এই ক্যাম্পেন নিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখে রীতিমতো খুশি তৃণমূলের পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও। যত দিন যাবে ততই এই প্রচার অভিযান ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলের সংগঠনে তো বটেই প্রশাসন থেকে মন্ত্রীসভায়ও একাধিক বদল বা বদলের ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যজুড়ে নিবিড় জনসংযোগের লক্ষ্যে সোমবার নজরুল মঞ্চে ‘দিদি কে বলো’ কার্যক্রমের সূচনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
সোমবার দুপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘দিদি কে বলো’ ক্যাম্পেন। আর তার একদিন পেরোতে না পেরোতেই এই ফেসবুক পেজে ৩৮ হাজারেরও বেশি লাইক। ফলো করছেন প্রায় ৩৯ হাজার মানুষ। আগামী দিনে তা আরও দ্রুত বাড়বে বলে মনে করছেন তৃণমূলের অনলাইন বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার সেই ফেসবুক পেজে, এই ক্যাম্পেনের সাফল্য কামনা করে যে সমস্ত নেতা-নেত্রীরা ট্যুইট করেছেন, তার একটি কোলাজও তুলে ধরা হয়েছে।