সুন্দরবনে কমে যাচ্ছে বাঘের সংখ্যা। গত চার বছরে এই রটনা উদ্বিগ্ন করেছিল পরিবেশ প্রেমীদের। এমনকি দিল্লীর নানা সংস্থা সুন্দরবন ঘুরে তাঁদের রিপোর্টে বাঘের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একেবারে অন্য। বরং দেশের মধ্যে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে চোখে পড়বার মতো।
গতকাল আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র সংরক্ষণ দিবসে ভারতের বাঘসুমারি প্রকাশ করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের প্রজেক্ট টাইগার বিভাগ। প্রতি চারবছর অন্তর এই সুমারি করা হয়ে থাকে। ২০১৪ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা ছিল ২২২৬। আজ প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৬৭। প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৭৬ টি। সেখানে গত চারবছরে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৮।
এই রিপোর্ট প্রকাশ করে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে শপথ নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা প্রত্যেকটি রাষ্ট্র দ্বিগুণ করবে। এটা আমাদের গর্ব যে সেই লক্ষ্য প্রায় চার বছর আগেই আমরা পূর্ণ করতে পারলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃতি ও সভ্যতার ভারসাম্য রক্ষা করা। অর্থাৎ আরও জনপদ নির্মাণ, আরও নদী সংস্কার, অরণ্য সংস্কার করতে হবে। কিন্তু একইসঙ্গে বন্যপ্রাণীর জন্য সুরক্ষিত আবাসস্থলও আমাদের বাড়িয়ে তুলতে হবে।
২০১২-১৩ সালে সুন্দরবন প্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনের বিভিন্ন অভয়ারন্য এলাকায় ১০০টি উন্নত মানের ক্যামেরা পাতা হয়। ২০১৮ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৯ থেকে ১০ টি। এছাড়াও সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ার কারণ, চোরা শিকারিদের দাপট কমা। এবং ম্যানগ্রোভের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়া। তাই এক কথায় বলাই যায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ কৃতিত্ব বনদফতরের।