মানুষের জন্যে ভালো কাজে নয় বরং সবসময় দুর্নীতির জন্যেই শিরোনামে থাকে গেরুয়া শিবির। এবার আর্ন্তজাতিক কচ্ছপ পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ বনগাঁর এক বিজেপি কাউন্সিলরের ছেলেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের বন দপ্তরের দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখর দাস। তাঁর মা গীতা দাস বর্তমানে বনগাঁ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই বিজেপি কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বন্যপ্রাণী পাচার করার অভিযোগ ছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেখর দাসের বিরুদ্ধে ভিন রাজ্যে বন্যপ্রাণী পাচারের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলা বন দপ্তর স্থানীয় থানায় শেখর দাসের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে কচ্ছপ পাচারের একটি অভিযোগ দায়ের করে। কেস নম্বর ১৬৪৮/১৭। তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৪৪, ৪৮এ, ৪৯বি, ৫১ এবং ৫২ ধারায় মামলা দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শেখর দাস। এ বছরের ২১ জানুয়ারি সাগর জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তারই ভিত্তিতে সেখানকার বন দপ্তর এ পর্যন্ত মোট তিনবার তঁার খোঁজে বনগাঁয় হানা দেয়। কিন্তু পলাতক থাকায় তাঁর সন্ধান পাননি তাঁরা। দিন কয়েক আগে সাগর জেলা বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বনগাঁ থানায় একটি বার্তা আসে। সেখানে শেখরকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সাহায্য চাওয়া হয়।
এই অভিযোগ দায়ের করেছে মধ্যপ্রদেশের বন দপ্তরের সাগর জেলা কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সেখানকার আদালতে শেখরের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে (ওয়াইল্ড লাইফ প্রিজারভেশন অ্যাক্ট) মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও বের হয়। ইতিমধ্যেই সেই রাজ্যের পুলিশ ২ বার বনগাঁয় হানা দিয়েও শেখরের সন্ধান পায়নি। অবশেষে দিন কয়েক আগে নতুন করে ওয়ারেন্টের কপি বনগাঁ থানায় এসে পৌঁছয়। আর তারই প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানার পুলিশ সোমবার বিকেলে বনগাঁর পাইপ রোড এলাকায় শেখরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেপ্তারির খবর বনগাঁ থানার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সেই রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দল বনগাঁর উদ্দেশ্যে রওনাও দিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে মধ্যপ্রদেশ নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।