নতুন নতুন বিল এনে বাংলার অধিকার খর্ব করতে চাইছে কেন্দ্র। গতকাল লোকসভায় দুটি বিলের বিরোধিতায় এভাবেই সরব হল তৃণমূল। একইসঙ্গে রাজ্যসভায় চিটফান্ড বিলের প্রসঙ্গেও কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন রাজ্যের শাসক দলের সাংসদরা।
রাজ্যসভায় চিটফান্ড বিলের সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা এবং প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “ অতীতের পার্ল চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নাম জড়িয়েছিল। তিনি ওই চিটফান্ড সংস্থার আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন। এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?”
লোকসভায় পেশ হওয়া দ্য ড্যাম সেফটি বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বাঁধ সুরক্ষায় রাজ্যের নিজস্ব আইন রয়েছে। আমরা সেই মত ব্যবস্থাও নিই। ফলে আরেকটি বিল কেন্দ্রের আনা কোনও মানে নেই”। সৌগত আরও বলেছেন, “এই বিল অনেক পুরনো। কেন্দ্র সরকার আসলে তাঁদের সিন্দুক, আলমারি থেকে পুরনো বিল ঝেড়ে বেছে বের করে। আর রাজ্যের সব কাজে বাধা দিতে চায়”।
শুধু সৌগত নয়, বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও পাশ হয় দ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল, ২০১৯। যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, “ মেডিক্যালে ভর্তির জন্যে যদি শুধু একটিই পরীক্ষা হয় তাহলে ছাত্রদের সেভাবেই প্রস্তুতিউ নিতে হবে। পরীক্ষার কারিকুলাম যাতে এক হয় তাও দেখতে হবে কেন্দ্রকে”। এরপরে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “ আমাদের রাজ্যের বহু শিক্ষার্থী অভিন্ন এই প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার জন্য সুযোগ পায় না কারণ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। আর সিলেবাসও আলাদা। আগে একটি ইউনিফর্ম সিলেবাস তৈরি করা হোক তারপরে চিন চার বছর বাদে সেই কারিকুলাম মেনে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক”।