বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের আরও উন্নয়নে নবদিগন্তে তৈরি হবে একটি কেন্দ্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অ্যানালিটিক্সের পাশাপাশি পড়ানো হবে অ্যানিমেশনও। সেখানে অ্যানিমেশন নিয়ে ৫০০ পড়ুয়া লেখাপড়া করতে পারবেন। নিউটাউনের বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে এই উদ্যোগের কথা জানালেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র।
পশ্চিমবঙ্গকে অ্যানিমেশন এবং ভিস্যুয়াল এফেক্টস-এর সেরা রাজ্যে পরিণত করতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নিউটাউনের বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে ওই আশার কথা শুনিয়েছেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, বণিকসভা ফিকির একটি রিপোর্ট বলছে, এদেশে আগামী তিন বছরে ভিস্যুয়াল এফেক্টস-এর বাজার হবে ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার। বৃদ্ধির হার ১৭.২ শতাংশ। বর্তমানে ৩০০ অ্যানিমেশন স্টুডিও আছে, প্রায় ২০ হাজার শিল্পী এখানে নিযুক্ত। নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের মতো সংস্থা যাতে পশ্চিমবঙ্গে এসে দেশীয় প্রযুক্তিতে অ্যানিমেশন তৈরি করে, আমরা সেই চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অ্যানালিটিক্স-এর মতো প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পশ্চিবমঙ্গ আগ্রহী। এর জন্য একটি টেকনোলজি সেন্টার গড়বে রাজ্য, যেখানে অ্যানিমেশন ও ভিস্যুয়াল এফেক্টসকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ওয়েবেল ডিকিউই অ্যাকাডেমি বছরে ৫০০ গ্র্যাজুয়েট তৈরী করবে। যাঁরা এই শিল্পের পেশাদার হিসেবে কাজ করবেন।
মন্ত্রীর কথায়, বাঙালির ডিএনএ-র মধ্যে রয়েছে অ্যানিমেশন। আজ অ্যানিমেশনের উপর ভিত্তি করেই সিনেমা তৈরি হচ্ছে। আমরা চাই, আঞ্চলিক ভাষায়ও অ্যানিমেশনের উপর ভিত্তি করেই সিনেমা তৈরি হোক। বর্তমানে ৬৪ জন এই কোর্সে পড়ছে। আমরা চাই এই সংখ্যাটা ৫০০ হোক।