যদি প্রশ্ন করা হয় মোহনবাগানের আইকন কে? বিনা বাক্যব্যয়ে উত্তর আসবে গোষ্ঠ পাল। অথচ আজ মোহনবাগান দিবসে আমন্ত্রিতই নন ‘চাইনিজ ওয়াল’-এর পরিবার। আজ মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ তাঁর পরিবার। গতকাল গতকাল ইস্টবেঙ্গলের শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গোষ্ঠ পালের ছেলে নীরাংশু পাল মোহন বাগানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘বাবা মোহন বাগান ক্লাব থেকে যত না সম্মান পেয়েছেন,তার থেকে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব বেশি সম্মান দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, মোহন বাগান বাবার মূল্যবান পদ্মশ্রী পুরস্কার হারিয়ে ফেলেছে। তাদের থেকে আর কী আশা করতে পারি!’
সোমবার ময়দানের গোষ্ঠ পাল মূর্তির পাদদেশে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনশনে বসবেন ‘চাইনিজ ওয়াল’-এর পুত্র নীরাংশু পাল ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। রবিবার ইস্টবেঙ্গলের মশাল মিছিলে সামিল হয়েছিলেন নীরাংশুবাবু। কাল, সোমবার মোহনবাগান দিবস। সেই অনুষ্ঠানে তিনি ও তাঁর পরিবার ব্রাত্য।
গোষ্ঠ পালের পাওয়া পদ্মশ্রী-সহ অন্যান্য পদক সেই ১৯৯২ সালে বাগানকে দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে সেগুলোর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গোষ্ঠ পালের পদক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হওয়ায় কয়েকটা পদকের ধ্বংসাবশেষ তুলে দেওয়া হয়েছিল নীরাংশুবাবুর হাতে। বাকি পদকগুলো খোঁজার জন্য কমিটিও গঠন করেছিল মোহনবাগান। সেই কমিটিরও ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব পদক পাননি নীরাংশুবাবু। মনোকষ্টে ভুগছেন তিনি।
নীরাংশু পাল বলছিলেন, ‘‘আমরা তো অনেকদিন ধরেই মোহনবাগান দিবসে আমন্ত্রিত নই। এবারও আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ ২০০৪ সালে গোষ্ঠ পালকে মরণোত্তর বাগান-রত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কেন মোহনবাগান দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয় না নীরাংশুবাবুকে? তিনি বলেন, ‘‘বাবার দেওয়া জিনিসগুলো আমি ফেরত চাই। তাই আমাকে আর ডাকা হয় না।’’
রবিবার নীরাংশুবাবু বলেন, ‘‘আমরা কাল সকাল থেকে বাবার মূর্তির পাদদেশে অনশনে বসব। ক্লাবকে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই আমরা অনশনে বসবো। বাবার পাওয়া পদ্মশ্রী-সহ অন্যান্য পদকগুলো মোহনবাগানকে ২৭ বছর আগে দিয়েছিলাম। সেগুলোর খোঁজ এখনও পেলাম না। মোহনবাগান কর্তাদের ফোন করলে বলে, পেলেই জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাদের। আমরা আরও কিছুটা সময় দিচ্ছি ওদের। তবে কোনও লিখিত চিঠি ওঁদের পাঠাচ্ছি না।’’