বৃহত্তর পরিসরে উঠে আসতে হবে বাংলার মেয়েদের৷ শুধু নিজেদের নয়, এবার সমাজের ভবিষ্যতও গড়ে তুলবে কন্যাশ্রী মেয়েরা। আগামী ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবস। তার আগে, রবিবার পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। যোগ দিয়েছিল পুরুলিয়ার ২৭৪টি কন্যাশ্রী ক্লাবের প্রতিনিধিরা। প্রশিক্ষণের মঞ্চে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার কিছু বিষয়ে পুরুলিয়ার পিছিয়ে থাকার খতিয়ান দিয়ে ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোমরাই পারবে জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’’
কন্যাশ্রীদের দিয়ে মেয়েদের গার্হস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। ঠিক করা হয়েছে, প্রতিটি কন্যাশ্রী ক্লাবে এক জন করে কন্যাশ্রী বড়দি থাকবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, কিশোরীরা সমাজে নানা ভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়। সে কথা অনেক সময়েই পরিবারেও আলোচনা করতে পারে না। কিন্তু সহপাঠীদের বলতে পারে।’’
এ ভাবেই একটু একটু করে কন্যাশ্রীর কন্যারা পুরুলিয়াকে আরও সুন্দর করে গুছিয়ে তুলবে বলে আশা প্রশাসনের। প্রতি ব্লকে মাসে এক দিন বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে। কন্যাশ্রী বড়দিদের সঙ্গে পুলিশের প্রতিনিধি ও ব্লকের মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক বসবেন। আলোচনা হবে নানা সমস্যা নিয়ে। কারও সাহায্য দরকার হলে করা হবে।
এ দিন সমীক্ষায় উঠে আসা জেলার কিশোরীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিষয় তুলে ধরেন জেলাশাসক। বলেন, ‘‘রক্তাল্পতায় ভোগে অনেক মেয়ে। খতিয়ে দেখা গিয়েছে, কিশোরী অবস্থায় পুষ্টি না পাওয়া। ঠিক এই জায়গায় আমরা কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের পরিবর্তনের দূত হিসেবে দেখতে চাইছি।’’ মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর জানান, দেশে কম উচ্চতা ও কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ করে ৩৮.৪ শতাংশ। এ রাজ্যে সেটা ৩২.৫ শতাংশ। কিন্তু পুরুলিয়ার বেলায় কম উচ্চতা ও ওজনের শিশু ৪৫.৫ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘‘এখানে ৫৬ শতাংশ কিশোরীই রক্তাল্পতায় ভোগে। আর ৪৭ শতাংশ কিশোরী অপুষ্ট”। তাই এবার কন্যাশ্রীর মেয়েরাই সমাজকে নতুন পথে ল, নতুন ভাবে এগোতে সাহায্য করবে।