ভোটে জিতে ফের মোদী সরকার ক্ষমতায় ফিরতেই শিক্ষার পর এবার কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থাতেও শুরু হয়ে গেল গৈরিকিকরণ। হ্যাঁ, সম্প্রতি একের পর এক কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থায় বাড়ছে বঙ্গ-বিজেপির মুখ। কোনও সংস্থায় চেয়ারম্যান পদে, তো কোথাও আবার সদস্য পদে রাজ্য বিজেপির ছোট-বড় নেতাদের নিয়োগ শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের জেরেই এই ‘পুরস্কার’ বলে মনে করা হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা যেমন টি বোর্ডের সদস্য হয়েছেন। রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সারওয়ার ধনানিয়া। আবার এমপ্লয়ি স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের (এসিক) কার্যকরী বডির সদস্য হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। এখানেই শেষ নয়। বাঁকুড়ার সাংসদ তথা চিকিৎসক নেতা সুভাষ সরকার হয়েছেন ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের সদস্য। এইমস কল্যাণীর পরিচালন সমিতিতে নিযুক্ত হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। এছাড়া অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজে কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পর নবগঠিত লোকসভার প্রথম অধিবেশন এখনও চলছে। এই সময়ের মধ্যে পরপর বিভিন্ন কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থা ও কমিটিতে রাজ্য বিজেপির একের পর এক নেতা নিযুক্ত হওয়ায় স্বশাসিত সংস্থায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ উঠছে। নিয়োগগুলির উদ্দেশ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তারা বলছে, স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনে কোনও অর্থনীতির বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করা ছিল। রাবার বোর্ডে প্রাক্তন কোনও আইএস অফিসারকে নিয়োগ করা হত। এখন সমস্ত প্রতিষ্ঠানের গৈরিকীকরণ শুরু হয়েছে। এই স্বশাসিত সংস্থাগুলি যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে চলে, সে জন্যই এই নিয়োগ হচ্ছে।