তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত মাশুল গুনছেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। আর সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যেই রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে তাঁর বাড়িতে। শুধু তাই নয় আসছে প্রাণনাশের হুমকিও। অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলায়। ক্ষ মতায় থাকাকালীন এলাকায় বিভিন্ন সমাজবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর এবার তারই মাশুল গুনতে হচ্ছে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে! রাতের অন্ধকারে স্ট্রিট লাইট নিভিয়ে, সিসি ক্যামেরা ভেঙে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা পুলিশকে জানাতে আসে প্রাণনাশের হুমকিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানতলা থানার হিজুলি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকাকালীন জিডি কর্মকার এলাকায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছিলেন। তারই বদলা নিতে দুষ্কৃতীরা শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে মনে করছে এলাকাবাসী। শুক্রবার মাঝরাতে দুষ্কৃতীরা প্রথমে এলাকার সমস্ত স্ট্রিট লাইট অফ করে দেয়। তারপর প্রাক্তন প্রধানের বাড়ির সামনে লাগানো চারটি সিসি ক্যামেরাই ভেঙে দেয়। এরপর তারা জি.ডি কর্মকারের বাড়ির মেন দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। যদিও তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। বাড়িতে হামলা হয়েছে বুঝতে পেরে তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকেরা চিৎকার শুরু করেন। মাঝরাতে, অন্ধকারের মধ্যে চিতকার শুনে রাস্তায় বেরিয়ে আসে এলাকাবাসী। তখনই বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় ধানতলা থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরা ভাঙার আগে পর্যন্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, শনিবার সকাল থেকে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি-ফোন আসছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন জি.ডি কর্মকার। যারা রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালাতে এসেছিল, তারাই প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধানতলা থানার পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি সহ সমগ্র এলাকায় পুলিশ বাহিনীও মোতায়ন করা হয়েছে বলে ধানতলা থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নদীয়ার ধানতলা থানার হিজুলি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জি.ডি কর্মকারের বাড়িতেই শুক্রবার রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের কাউকে এখনও ধরা যায়নি। তবে সিসি ক্যামেরা ভাঙার আগে মুখে কাপড় বাঁধা দুই হামলাকারীর ছবি ধরা পড়েছিল। সেই ছবি দেখেই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে।