ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পেলেন বাঁ হাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান জন ক্যাম্পবেল, অল-রাউন্ডার রস্টন চেজ এবং কিমো পল। এই একদিনের সিরিজ খেলেই ক্রিস গেইল অবসর নেবেন। তাঁকেও ১৪ জনের ওয়ান ডে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। এই একদিনের বিদায়ী সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান ব্রায়ান চার্লস লারার রেকর্ড নিশ্চিতভাবেই ভেঙে দিতে পারেন ক্রিস গেইল। তাঁর মোট রান এখন ১০, ৩৩৮। লারার রান ১০, ৩৪৯। অর্থাৎ আর ১২ রান করলেই গেইলের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হেড কোচ ফ্লয়েড রেইফার বলেছেন, ‘ক্রিস গেইল যে কোনও দলের কাছে খুবই মূল্যবান ক্রিকেটার। আশা করি, বিদায়ী সিরিজে সে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি উজাড় করে দেবে। ড্রেসিং-রুমে ওর উপস্থিতি সহ-খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
এই টি-২০ দল থেকে একদিনের দলে ঢুকতে পারেননি সুনীল অ্যাম্বরিস, ড্যারেন ব্র্যাভো, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও অ্যাশলি নার্স। এমনকী পুরোপুরি চোটমুক্ত না হওয়ার জন্য আন্দ্রে রাসেলকেও দলে রাখা হয়নি। উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও জন ক্যাম্পবেল, রস্টন চেজ ও কিমো পল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপগামী দলে তাঁদের জায়গা হয়নি। মূলত দলগত ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্যই এই তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রেইফার বলেছেন, ‘এই দলটিতে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রণ ঘটেছে। কিমো, জন ও চেজ– তিনজনেই একদিনের ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে সক্ষম। আশা করি, ওরা হতাশ করবে না। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অনেকেই এই দলে রয়েছে। এখন থেকেই ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য দল গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলবে। আগামী চার বছর প্রতিটি ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স আতসকাচের নীচে ফেলে যাচাই করা হবে। যাতে চার বছর বাদে ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল পুনরায় ব্যর্থ হয়ে না ফেরে। গত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ সূচনা করলেও পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। এই ভুল থেকে আশা করি, ক্রিকেটাররা শিক্ষা নেবে। প্রতিটি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতির পর্যাপ্ত অবকাশ রয়েছে। এছাড়া মানসিকতা বদলেরও প্রয়োজন। টি-২০ ক্রিকেটের মানসিকতার সঙ্গে একদিনের ম্যাচের কোনও তুলনাই চলে না। ওয়ান ডে ম্যাচে ইনিংস বিল্ড আপ করতে হয়। তাড়াহুড়ো করে চালিয়ে শুরু থেকে ব্যাট করার কোনও মানে হয় না।’