‘সংসদের বিষয় উপদেষ্টা কমিটি আসলে সময় ধার্য করা কমিটিতে পরিণত হয়েছে।’ ১৭ তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন বসা ইস্তক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে প্রায় রোজই কোনও না কোনও বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার যে ট্রেন্ড শুরু করেছে কেন্দ্র, তার বিরোধীতা করতে গিয়ে এমন কথাই বলছে বিরোধীরা। ‘প্রায় রোজই কোনও না কোনও বিল পেশ, আলোচনা আর সংখ্যার জোরে তা পাশ করে নেওয়া সংসদের কাজ নয়’- এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তারা।
আসলে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে একের পর এক অর্ডিন্যান্স বিলের আকারে পাশ হচ্ছে। অর্ডিন্যান্সগুলির কোনওটির দু’বার, কোনওটির তিনবার মেয়াদ বাড়ানাে হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের খসড়া সংসদে পেশ করার আগে সেগুলো পর্যালোচনার জন্য ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি’ বা ‘সিলেক্ট কমিটি’তে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু সরকার তার ধার ধারছে না। কমিটিই গঠিত হয়নি! সংসদীয় রীতি অনুযায়ী বিল পেশের দু’দিন আগে সাংসদের হাতে বিলের খসড়া পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না।
সরকারের বক্তব্য, অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতেই এমন তাড়াহুড়ো। আর স্পিকার ওম বিড়লা বিরােধীদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী অধিবেশন থেকে সব নিয়ম মানা হবে। তবে স্পিকারের এই কথা শুনে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, এবার এত বিল পাশ করানাে হচ্ছে যে, আগামী অধিবেশনের জন্য কোনও বিল আর বাকি থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। কোম্পানি আইন (সংশোধনী) বিল পাশের বিরোধীতা করেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, নিয়ম মেনে বিল পেশ হয়নি। তাই বিলটি ফেরত নিন অর্থমন্ত্রী।
এদিকে আবারও বিরোধীদের প্রবল আপত্তির মধ্যেই তথ্যের অধিকার (সংশোধনী) বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযােগ করেছেন, এই বিলের ওপর ভােটাভুটির সময় এক বিজেপি সাংসদ হাতে অনেকগুলি ব্যালট পেপার নিয়ে সদস্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি রাজ্যসভার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন।