চেষ্টা চলছিল লোকসভা ভোটের বহু আগে থেকেই৷ তবে ফলপ্রকাশের পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতেই কোমড় বেঁধে নামে গেরুয়া শিবির। অবশেষে টানা ১৭ রজনী পার করার পর ‘ঘোড়া কেনাবেচা’, দফায় দফায় বিধায়কদের ইস্তফা আর আস্থা ভোট নিয়ে চলা কর্ণাটকের রাজনৈতিক নাটকের যবনিকা পতন ঘটেছে দু’দিন আগেই। কুমারস্বামী সরকারকে ৬ ভোটে হারিয়ে সরকার গড়ার ব্যাপারে শাহের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় ছিলেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সেই সঙ্কেত মিলতেই আজ, শুক্রবার ঠিক সন্ধে ৬টায় চতুর্থবারের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ইয়েদুরাপ্পা।
এদিনই সকালে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি। রাজ্যপাল সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। জানা গেছে, আগামী সোমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হবে ইয়েদুরাপ্পা সরকারের। রাজ্যপাল তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, ‘সব কংগ্রেস ও জেডিএস নেতাদের নিয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। আমার সঙ্গে আর কে কে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, তা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করব।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আস্থা ভোটে পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কুমারস্বামী। গত বছর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হওয়ায় জোট বেঁধে সরকার গড়ে রাজ্যে রাজনীতিতে কট্টর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস-জেডিএস। লোকসভা নির্বাচনে দুটি দলের সাকুল্যে একটি করে আসন জোটে। তৃণমূল স্তরের কর্মীরা বুঝিয়ে দেন তাঁরা এই জোটে খুশি নন। তার ওপর বিজেপির তরফে চলছিল হর্স ট্রেডিং। অতঃপর আস্থাভোটে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন জোট পেয়েছে মাত্র ৯৯টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি। স্বাভাবিকভাবেই ২২৫ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় একক ভাবে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর এর পরেই লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দু’মাস না পেরোতেই পড়ে গেল কর্ণাটকের জোট সরকার। এবং চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হল ইয়েদুরাপ্পার।