সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়েই ইস্ট বেঙ্গল তাঁবু সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গলে। ক্লাবের লনটি সাজিয়ে তোলা হচ্ছিল। সেখানে শতবার্ষিকীর জন্য ক্লাবের নতুন স্পনসরদের প্রচারের ব্যাপারটিও ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাব লন সংস্কারের কাজটি সেনা বাহিনীর তরফে বন্ধ করে দেওয়া হল।আর সেনাবাহিনীর এই নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে শতবর্ষ উদযাপনের যাবতীয় প্রস্তুতি।
ইস্ট বেঙ্গল ডুরান্ডে দ্বিতীয় সারির দল নামাবে বলে জানানো হয়েছিল কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের তরফে। সেই সিদ্ধান্তে রেগে কাঁই সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার তারা ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছিল পূর্ণ শক্তির দল নামানোর জন্য। তার কোনও উত্তর না পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাতে ইস্ট বেঙ্গলের সাবেক কর্তারা যোগাযোগ করেন কোয়েস কর্তাদের সঙ্গে। বিষয়টি বেঙ্গালুরুর কোয়েস অফিস পর্যন্ত গড়ায়। রাতের খবর, শুক্রবার কোচ আলেজান্দ্রো বিবৃতি দিতে চলেছেন,‘ইস্ট বেঙ্গল ডুরান্ডে সেরা দলই খেলাবে।’ ডুরান্ডে চার বিদেশির নামই নথিভুক্ত হচ্ছে। বোরহা, কোলাডো, কাসিম আইদারা লাল হলুদের ‘রিটেন’ প্লেয়ার। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সই না করায় ৩১ জুলাই লিগের প্রথম ম্যাচে তারা জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না। তবে তারপর আইএফএ’তে সই করে ডুরান্ডে খেলতে কোনও সমস্যা নেই। সেনাবাহিনীর চাপে চার বিদেশিকে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। পরে অনুশীলনে যোগ দেওয়ায় প্রথম ম্যাচে না খেলালেও দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ম্যাচে তাঁদের খেলানো হতে পারে।
লাল-হলুদ শিবিরের অনুমান, ডুরান্ড কাপে অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘শতবর্ষ পালনের জন্য ক্লাব সাজিয়ে তোলার কাজ চলছিল। সেনাবাহিনী আমাদের অনুমতিও দিয়েছিল। হঠাৎ কেন তা বন্ধ করল বুঝলাম না। সেনাবাহিনীর তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। শোনা যাচ্ছে, ডুরান্ডে আমরা যাতে পূর্ণশক্তির দল পাঠাই, তার নিশ্চয়তা চাইছে।’’