সংশোধিত বিলে আরটিআই-কে একটি নিছক সরকারি দপ্তরে পরিণত করার প্রয়াস চলছে বলে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। স্ক্রুটিনির জন্য এই বিলকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিরোধীদের তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করে শুধু সংখ্যার জোরেই রাজ্যসভাতে আরটিআই সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। মোদী সরকারের এই গাজোয়ারির বিরুদ্ধে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াইয়ের পণ করে এসেছিলেন ডেরেক। এই বিলের বিরোধীতায় রাজ্যসভায় ডেরেকের নেতৃত্বেই একজোট হয় বিরোধীরা। চলে দফায় দফায় সভা মুলতুবি। শেষে এই বিলটি বাদ দিয়ে ‘যে কোনও’ তিনটি বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে রাজি হয় মোদী সরকার।
আরটিআই বিলের প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারের বেতন ও মেয়াদ। বর্তমানে তথ্য কমিশনারের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর। সংশোধিত বিলে প্রস্তাব রয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের মতানুযায়ী মেয়াদকাল’ হতে পারে। বেতনও নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, তথ্য কমিশনারের বেতন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সমান।
এটারই বিরোধিতা করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।তিনি বলেন, ‘সংশোধিত বিলে আরটিআই-এর স্বাধীনতা খর্ব হবে। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে আরটিআই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এভাবে আসলে ওই পদকে নিছক একটি সরকারি দপ্তরে পরিণত করার প্রয়াস করা হচ্ছে’।
ডেরেকের মতে, এভাবে তথ্য কমিশনের মেয়াদ ও বেতন ভাতা সব সরকার নিজেদের হাতে একটা বার্তা দিয়ে রাখছে যে আগামীদিনে সরকারই নিয়ন্ত্রণ করবে আরটিআই। এবং সরকারের নির্দেশেই আরটিআই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে অথবা তথ্য প্রকাশ করা হবে না। এর ফলে স্বশাসিত ও স্বাধীন চরিত্রই থাকবে না আরটিআইয়ের।