ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্ট ২২ অগস্ট থেকে। কিন্তু কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, ওশেন থমাসদের দেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি তিনি শুরু করে দিচ্ছেন এক মাস আগে থেকেই। ভারতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এম এস কে প্রসাদকে বিশেষ অনুরোধ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’র বিরুদ্ধে চলতি বেসরকারি টেস্ট সিরিজে খেলার অনুমতি চান মায়াঙ্ক। তাই শুক্রবারই দ্বীপরাষ্ট্রে রওনা দিচ্ছেন কর্নাটক ব্যাটসম্যান।
অনেক লড়াই করে অস্ট্রেলীয় সফরে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। অভিষেকেই বক্সিং ডে টেস্টে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের বিরুদ্ধে তাঁর ৭৬ রানের ইনিংস দলের ওপেনিং-বিভ্রাট দূর করতে সাহায্য করেছিল। সিডনিতে জীবনের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে ৭৭ রান করার পরে দলে স্থায়ী জায়গা করে নেন কর্নাটকের এই ওপেনার। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাই ছোটবেলার বন্ধু কে এল রাহুলের পাশে তাঁকেই ওপেন করতে দেখা যাবে।
মায়াঙ্ক বলেন, “প্লাস্টিকের বল এমনিতেই সুইং করে। শক্ত প্লাস্টিক বলে সুইংয়ের সঙ্গে বাউন্সও পাওয়া যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এ ধরনের বাউন্স ও সুইং আশা করছি। কারণ ডিউকস বল এমনিতেই সুইং বেশি করে। উইকেটে বাউন্স থাকলে এ ধরনের ডেলিভারি আমাকে চ্যালেঞ্জ করবেই”। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসার পরে বেঙ্গালুরুতে নিয়মিত দু’বেলা অনুশীলন করতেন মায়াঙ্ক। বাউন্স ও সুইংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কংক্রিটের উপরে প্লাস্টিকের বলে ব্যাট করে নিজেকে তৈরি করেছেন। সঙ্গে টেনিস বল ভিজিয়েও ব্যাট করে গিয়েছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
তাঁকে স্থায়ী ওপেনার হিসেবে দেখা হলেও বর্তমান ভারতীয় দল পারফরম্যান্সে বিশ্বাসী। ব্যর্থ হলেই দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে যে কোনও ক্রিকেটারের। মায়াঙ্ক এই পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিযোগিতা না থাকলে প্রত্যেক ম্যাচে পারফর্ম করার তাগিদ কমে যেতে পারে। সেটা দলের জন্য ক্ষতিকারক। রান করার মানসিকতা নিয়ে না নামলে দল জিতবে কী করে? ভারত ‘এ’-র হয়ে যারা খেলছে, তারাও নিয়মিত রান করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়। পারফর্ম করলে সুযোগ তো দিতেই হবে।’’