গতকাল নজরুল মঞ্চে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত যাবতীয় কথাও শুনেছেন এবং সমাধানও দিয়েছেন। তবে তারপর থেকেই পার্থর বক্তব্যের ভুল মানে বের করছেন বহু মানুষ। তাই মানুষের মধ্যে এই বিভ্রান্তি দূর করতে আজ ফেসবুকে পোস্ট করলেন পার্থ। যেখানে পার্থ লিখলেন, “অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে আমার বক্তব্যের”।
ফেসবুকে পার্থ লিখেছেন, “গতকাল নজরুল মঞ্চে আমার দেওয়া বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করার একটা প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।আমাদের সরকার নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে শিক্ষিকাদের দূর দূরান্তে স্কুলে কাজ করাকে সঠিক বলে মনে করেনি সেই কারণেই শিক্ষিকাদের যতটা সম্ভব তাদের নিজেদের জেলাতেই যেখানে শিক্ষিকার বা শিক্ষক এর দরকার সেখানেই তাদের রাখতে বলা হয়েছে।এটা ঠিকই যে অন্যদের বিষয় কখনো আগের আমলে যে বদলে নীতিতে আমরা কাজ করছি বা নিয়োগ করবার সময় শিক্ষিকাদের নিজেদের জেলাতেই যতটা সম্ভব নিয়োগ করিবার নির্দেশ দেওয়া আছে বদলির সময় সেই নিয়ম যতটা সম্ভব মেনে চলতে বলা আছে, শিক্ষিকাদের সমস্যা জানাতে গিয়ে যদি কোন অপব্যাখ্যা হয়ে থাকে তা কখনোই কাম্য নয় আমি তো নিজেই মহিলাদের সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি তাতে যেভাবে তার অপব্যাখ্যা হচ্ছে তাতে মর্মাহত। প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রত্যাশিত পে গ্রেড নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে অনুমতি দিয়েছেন সেই অনুমতি আগের আমলে দেওয়া হয়নি এমনকি আমাদের সরকারি নন ট্রেন্ড শিক্ষক সমাজকে নিজেরাই সুযোগ দিয়ে এমন কি ৫০% যাদের নেই তাদেরকেও পরীক্ষার বন্দোবস্ত করে ট্রেন্ড হবার ও ও ৫০% যাতে তারা পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করেছেন অথচ এই উদ্যোগের কোন সাধুবাদ নেই। আজকে যারা এ বিষয়ে মত প্রকাশ করছেন তাদের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে না। সরকার সীমিত অর্থনৈতিক ক্ষমতার মধ্যেও গোটা শিক্ষক সমাজের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকলে তারা বুঝবেন শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে শুধু নয় শিক্ষার পরিকাঠামোগত ও ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সরকার কতটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন”।
পার্থর এই বক্তব্য থেকে একথা দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার শিক্ষক মহলের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তাই জন্যেই শত অসুবিধার মধ্যেও বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে শিক্ষকদের। তাই যেভাবে তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে তাতে ভীষণই মর্মাহত পার্থ।