আবারও জনরোষের শিকার হল একটি বাঘিনী। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে একটি ৬ বছরের বাঘিনীকে মেরে ফেলেছে গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদেরই একজন এই নারকীয় ঘটনার ভিডিয়ো-ও তুলে রেখেছে। প্রায় ২ মিনিটের ওই ভিডিয়ো-তে শোনা গিয়েছে গ্রামবাসীদের পৈশাচিক উল্লাস। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্মীরা। কিন্তু উন্মত্ত গ্রামবাসী গুরুতর আহত বাঘিনীর ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেয়নি তাঁদের। এক বনকর্মীর কথায়, “গুরুতর চোট পেয়েছিল বাঘিনীটি। মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিল। ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম আমরা, যদি বাঁচানো যায়। কিন্তু গ্রামবাসীরা বাঘিনীটি মারা না যাওয়া পর্যন্ত ওর কাছে আমাদের যেতেই দেয়নি।”
বনদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল বাঘিনীটির। সারা দেহে ছিল অসংখ্য ক্ষত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই সব তথ্য। উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার একটি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। রাজধানী লখনউ থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে পিলভিট টাইগার রিজার্ভের কাছেই রয়েছে এই মাতাইনা গ্রাম। গত বুধবার সকালে এই গ্রামের এক বাসিন্দার উপর আক্রমণ করে ওই বাঘিনী। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুটছিলেন গ্রামবাসীরা। বাঘিনীটিকে ধরার জন্য পাতা হয় ফাঁদ। জালে ধরা দেয় ওই বাঘিনী। তারপরেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বাঘিনীকে। ওই গ্রামের যে বাসিন্দা গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেছেন তাঁকে গোটা ঘটনা ব্যাখ্যা করতেও শোনা গিয়েছে। ধারাভাষ্যের স্টাইলে ওই ভিডিয়োর ব্যাকগ্রাউন্ডে বলতে শোনা গিয়েছে কেন এই ঘটনা ঘটেছে এবং কী ভাবে ঘটেছে। এ দিকে গ্রামবাসীদের পরপর লাঠির আঘাতে তখন ধরাশায়ী ওই বাঘিনী।