২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলবদল শুরু হয়েছিল এ রাজ্যে। গেরুয়া ঝড় বয়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে৷ ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে শাসকদলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিজেপি৷ রাজনৈতিক পালাবদলে ঘাসফুল ছেড়ে শাসকদলের তাবড় সব নেতারা পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছেন৷ এরই মাঝে বিজেপি থেকে ‘ঘরওয়াপসি’ ঘটেছে অনেক তৃণমূল নেতারই৷ তৃণমূল থেকে বিজেপির হাত ধরার সংখ্যা বৃহৎ আকারে চোখে পড়লেও, বিজেপি থেকে শাসকদলে নাম লেখানোর সংখ্যাটা সেভাবে নজরে আসেনি৷ অনেকেই মোহ কাটিয়ে ফিরেছেন সেই শাসকদলে৷ এবার বাঁকুড়ায় বিরোধী শিবির থেকে ৪২ জন সমর্থককে দলে ফেরালেন শ্যামল সাঁতরা৷
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে ব্যাপক পরাজয়ের পর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বাঁকুড়া জেলা সহ গোটা রাজ্য জুড়েই ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক দল। যখন ঘাস ফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগদানের হিড়িক চলছে, ঠিক তখনই বিজেপি থেকে ৪২ জনকে তৃণমূলে এনে মাষ্টারস্ট্রোক দিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। শুক্রবার জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোনামুখীর পাঁচালের ইছারিয়া-জগদ্দলার ৪২ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
এদের মধ্যে পাঁচাল অঞ্চল বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি দয়াময় রায়ও রয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা দয়াময় রায় এক সময় সিপিএমেরই সদস্য ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন যোগ দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।”