২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারে বেরিয়ে দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে এনে তা থেকে প্রত্যেক নাগরিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। প্রথম দফায় ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে ফের ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মোদী। তবুও কারও অ্যাকাউন্টে এখনও এক টাকাও ঢোকেনি। তবে কালো টাকা উদ্ধার বা বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনা তো দূর, দেশে কত কালো টাকা আছে তা-ও অজানা কেন্দ্রের! এমনকী বিষয়টি নিয়ে কোনও স্থির অনুমানই নেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের। মঙ্গলবার সংসদে এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ভারতে কত কালো টাকা রয়েছে এবং এই হিসাব বহির্ভুত অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অনুরাগ বলেন, ‘দেশে কত কালো টাকা আছে সে বিষয়ে কোনও অনুমান নেই।’
কেন্দ্রের তরফ থেকে যথেষ্ট সতর্কতা না নেওয়াই কি কালো টাকা বৃদ্ধির কারণ প্রশ্ন করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তাঁর সাফাই, ‘কালো টাকা উদ্ধার এবং রোধে কেন্দ্র একাধিক শক্তিশালী পদক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ব্ল্যাক মানি (আনডিজক্লোজট ফরেন ইনকাম অ্যান্ড অ্যাসেটস) অ্যান্ড ইম্পোজিশন অফ ট্যাক্স আইন প্রণয়ন করা। বিদেশে গচ্ছিত হিসাব বহির্ভুত অর্থের মোকাবিলা করার জন্য ২০১৫ সালের জুলাই থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়। এছাড়া, ২০১৬ সালের বেনামি ট্রানজাকশনস (প্রোহিবিশন) অ্যামেন্ডমেন্ট আইনও উল্লেখযোগ্য। কালো টাকা উদ্ধারের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি অনুরাগের। তবে অনুরাগ যাই বলুন না কেন, কালো টাকা ইস্যুতে যে তিনি বিরোধীদের হাতে ফের নতুন এক অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।