রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্পে বিনিয়োগ এবং শিল্পের উন্নতি নিয়ে সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টা যেমন রাজ্যের ধুঁকতে থাকা শিল্পক্ষেত্রগুলিতে নয়া প্রাণ সঞ্চার করেছে, তেমনি গড়ে উঠছে নানা শিল্পতালুকও। যার ফলস্বরূপ এবারের শিল্প সম্মেলন থেকে মোট ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বাংলার। এবার অস্ট্রেলিয়ার সরকারের রিপোর্টেও দেখা গেল বাংলার শিল্পক্ষেত্রের জয়জয়কার। সম্প্রতি এক বাণিজ্যিক সংগঠন দ্বারা আয়োজিত কলকাতায় এক বাণিজ্যিক সম্মেলনে অস্ট্রেলীয় সরকারের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের নিরিখে বাংলা এক অন্যতম সেরা রাজ্য।
রিপোর্ট প্রকাশ করে অস্ট্রেলীয় দূতাবাসের আধিকারিক বলেন, ক্ষমতা থেকে প্রদান সবকিছুর নিরিখে সম্পদ ও শক্তি (খনন যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি ও পরিষেবা), কৃষি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা (মূলত হস্পিটালিটি প্রশিক্ষণ) এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা- এই চারটি ক্ষেত্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিগত দিনেও অনেক বিনিয়োগকারী ও শিল্পপতি যেমন বলেছেন, বাংলা হল পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বিনিয়োগের প্রবেশদ্বার। সেই একই সুর শোনা গেছে, অস্ট্রেলীয় দূতাবাসের আধিকারিকের গলাতেও। ওই রিপোর্টে বাংলাকে ‘বাংলার খনি ও সম্পদের কেন্দ্র’, ‘খনিজ উৎপাদনে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম’, ‘পূর্ব ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাব’, ‘পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারত, ভারতের পূর্বদিকের দেশগুলিতে বিনিয়োগের প্রবেশদ্বার’, ‘কৃষিতে উল্লেখযোগ্য রাজ্য’ তকমা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, মাছ, চিংড়ি, চালের সর্বোচ্চ উৎপাদক, পাট, আলু, আনারস ও চা উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য রাজ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। আবার এর পাশাপাশি কলকাতাকে উল্লেখযোগ্য নগর কেন্দ্রিক বাজার ও দ্রুততম উন্নয়নশীল শহর তথা ২০২১ সালের মধ্যে এশিয়ার সেরা ১০টি দ্রুততম উন্নয়নশীল শহর হিসেবে ধরা হয়েছে)। বাংলা কয়লাশিল্পের হাব হওয়ায় রিপোর্টে কৃষিতে রাজ্যের সাফল্য (কৃষি ক্ষেত্রের এনএসভিএ ১৭ শতাংশ হওয়ায় এবং সেচের জন্য) এবং পর্যটনের সম্ভাবনাও উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে প্রকাশিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার উন্নয়নের যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সকল সাফল্য যে মমতার আমলেই এসেছে, তা বলাই বাহুল্য।