বিশ্বকাপে সেই অর্থে দাগ কাটতে পারেননি কুলদীপ যাদব। সুযোগ পাননি সেমিফাইনালের ম্যাচেও। তবে সেই যন্ত্রণা ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাননি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাফল্যই এখন পাখির চোখ তাঁর। কুলদীপ জানালেন রাসেলদের বধের নকশা তৈরি।
সামনের লক্ষ্যটাও পরিষ্কার কুলদীপের। আসন্ন ক্যারিবিয়ান সফরে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া। যে জন্য বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই কোচ কপিল পাণ্ডের অ্যাকাডেমিতে নিয়মিত দু’বেলা প্র্যাক্টিস চালাচ্ছেন। বলছিলেন, ‘‘স্যরের কাছে নিয়মিত ট্রেনিং চলছে। বোলিং করছি, ফিজিক্যাল ট্রেনিংও চলছে। প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের জন্য আলাদা, আলাদা করে পরিকল্পনা করছি। তিন তারিখ পর্যন্ত এখানে আছি।’’
বিশ্বকাপের থেকে ক্যারিবিয়ান সফরের চ্যালেঞ্জটা কিছু কম হতে যাচ্ছে না কুলদীপের কাছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই স্পিনার খেলছেন না। আছেন ওয়ান ডে এবং টেস্ট দলে। ওয়ান ডে-তে উল্টো দিকে থাকবেন ক্রিস গেল, আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরানের মতো পাওয়ারহিটাররা। এঁদের জন্য কী ভাবে তৈরি হচ্ছেন? কুলদীপ বলছেন, ‘‘আমি জানি, ওদের দলে কত ভয়ঙ্কর সব ব্যাটসম্যান আছে। আইপিএলেই তো দেখেছি। তবে ক্রিস গেল, রাসেলদের জন্য আমার আলাদা পরিকল্পনা করা আছে। সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
কী সেই বিশেষ পরিকল্পনা? কুলদীপের জবাব, ‘‘আমি ক্রিজটাকে বিশেষ ভাবে কাজে লাগাতে চাই। চেষ্টা করছি, যাতে নানা কোণ থেকে বল ডেলিভারি করা যায়। মানে কখনও উইকেটের কাছে এসে, কখনও বা একটু দূরে সরে গিয়ে বলটা ছাড়া। এতে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করা যাবে বলে মনে হয়। স্ট্রোক খেলার জায়গাটাও ওদের দিতে চাই না।’’
আইপিএলে ব্যাটসম্যানদের হাতে প্রচণ্ড মার খাওয়ার পরে একটা সময় ফ্লাইট দিতে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন কুলদীপ। যে সমস্যার কথা তিনি কোচকেও বলেন। কপিলের পরামর্শ ছিল, সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে একটু টেনে বল করলে সমস্যার কিছু নেই। কিন্তু ফ্লাইটটাও করিয়ে যেতে হবে। কপিল বলছিলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে দারুণ সব পাওয়ারহিটার আছে, তা আমরা জানি। তা হলেও আমি কুলদীপকে বলেছি, ফ্লাইট করাতে ভয় পাবি না। সঙ্গে অবশ্যই জোরের উপরে বল মিশিয়ে দিতে হবে। ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে বোলিংয়ে বৈচিত্র থাকাটা খুব জরুরি।’’
নিজের সামনে কী লক্ষ্য রেখে এগোচ্ছেন? কুলদীপ বলে উঠলেন, ‘‘বিশ্বকাপ শেষ। নতুন সিরিজ, নতুন লক্ষ্য। তবে এত উইকেট পেতে হবে বা এই ব্যাটসম্যানকেই আউট করতে হবে, এ রকম কোনও লক্ষ্য সামনে রাখিনি। যে পরিকল্পনা করে যাচ্ছি, সেগুলো ক্যারিবিয়ানে কাজে লাগাতে চাই। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে চাই।’’