কোন্নগর নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত দুই ছাত্রের ২ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল শ্রীরামপুর আদালত। ধৃত ছাত্রদের নাম সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার। অধ্যাপক নিগ্রহকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় এমন অন্যায় কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। উল্লেখ্য, সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি ঘটনার বিবরণ শোনেন ও তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
আজ বেলায় কলেজে যান সুব্রতবাবু। তার কিছু পরেই কলেজে উপস্থিত হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তাঁরা প্রথমেই সুব্রতবাবুর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান। এমনকি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন প্রবীর ঘোষাল। এই ঘটনার পিছনে কে রয়েছে তা অধ্যাপকের কাছে জানতে চান। কিন্তু প্রথমে অধ্যাপক তাঁর নাম নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি যদি তাঁর নাম নিই, আমার কাল থেকে কলেজে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।” এরপর তিনি সুব্রতবাবুকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। কে কত বড় দাদা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আমি নামটা বলুন।” অধ্যাপকের কাছ থেকে সবটা শোনার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল।