১৭ তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন বসা ইস্তক প্রায় রোজই সংসদে কোনও না কোনও বিল পেশের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তা পাশ করে নিচ্ছে মোদী সরকার। এ কারণে ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, লোকসভায় বিরোধীদের সংখ্যা কম হলেও রাজ্যসভায় এখনও মোদী সরকার সংখ্যালঘু। তাই সেখানেই সরকারকে চেপে ধরতে হবে। তীব্র করতে হবে প্রতিবাদ। রাজ্যসভায় সেইমতোই এগোচ্ছে বিরোধীরা। এমনকী এবার তাদের কৌশলও বদলে নিল তারা৷ সম্মিলিত বিরোধীরা সাতটি বিলের একটি তালিকা দিয়েছে মোদী সরকারকে৷ সেই বিলগুলি যদি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তা হলেই তারা অন্য বিল পাশ করার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি জানাবে না৷
মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের কৌশল ছিল, সব বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে হবে, তা না করে সরকার যদি বিলগুলি পাশ করাতে চায়, তা হলে বিরোধীরা বিল পাশ করার প্রক্রিয়া বয়কট করবে৷ কিন্তু কেন এই মত পরিবর্তন? সূত্রের খবর, সংসদে গুলাম নবি আজাদের অফিসঘরে বিরোধী নেতাদের যে বৈঠক হয়, সেখানেই ঠিক হয়, সাতটি বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠালেই হবে৷ বাকি বিল কমিটিতে না পাঠিয়ে পাশ করলেও বিরোধীরা আপত্তি জানাবে না৷ এ বিষয়ে তৃণমূলের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, ‘আমরা রাজ্যসভায় দাঁড়িয়েই লড়তে চাই৷ বয়কট করে কোনও লাভ হবে না৷ সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা যাবে না৷’
ইতিমধ্যেই আরটিআই বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে তৃণমূলের প্রস্তাবে এ পর্যন্ত ১৬টি বিরোধী দল সই করেছে৷ এর মধ্যে বিজেডি ও টিআরএসও আছে৷ বিরাধীদের আশা, অন্ততপক্ষে এই বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে সরকার রাজি হতে পারে৷ এছাড়া যে সাতটি বিল বিরোধীরা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে চায়, তার মধ্যে আছে, তিন তালাক, তথ্যের অধিকার, কোড ওয়েজেস বিল, অকুপেশনাল সেফটি, ইন্টার স্টেট রিভার ওয়াটার ডিসপিউট, ডিএনএ এবং ইউএপিএ৷ সূত্রের খবর, কংগ্রেস ও বামেরা প্রথমে ট্রাম্প-মোদীর বিষয়টি নিয়ে হইচই করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু অন্য বিরোধীরা বিলগুলিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর বিষয়টিকে বেছে নিলে, রাজ্যসভায় সাতটি বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলেন ডেরেক৷