অর্থ তছরুপ কান্ডে এবার নাম জড়ালো প্রাক্তন ভারতীয় ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। আম্রপালি গ্রুপ-এর বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধমূলক অর্থ পাচার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে ধোনি ও তাঁর স্ত্রী সাক্ষী ধোনির। সুপ্রিম কোর্টে বহুদিন ধরে চলা এই মামলার ভিত্তিতে আজ বিচারকরা জানিয়েছেন, ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ধোনি ও তাঁর স্ত্রী সাক্ষীর একাধিক সংস্থায় আবাসন ক্রেতাদের দেওয়া অর্থ সরিয়েছে আম্রপালি।
গত বছর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে যে ফরেন্সিক অডিট চালু হয়েছিল, তাতেই রীতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও আম্রপালি মাহি ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড-এর সঙ্গে আম্রপালি গোষ্ঠীর এই গোপন ‘আঁতাত’ সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ধোনি ও তাঁর স্ত্রীর একাধিক সংস্থার সঙ্গে নানা চুক্তি করেছিল আম্রপালি গ্রুপ। পবন কুমার আগরওয়াল এবং রবিন্দর ভাটিয়ার অডিট রিপোর্ট জানিয়েছে, আম্রপালি মাহি ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নগদে শেয়ার ক্যাপিটাল পেয়েছে এবং সমস্ত খরচও নগদে মেটানো হয়েছে।
আম্রপালি গ্রুপ-এর বিভিন্ন সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০১৫-র মধ্যে রীতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড-কে ৪২.২২ কোটি টাকা দিয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়েছে। তার মধ্যে ৬.৫২ কোটি টাকা দিয়েছে আম্রপালি স্যাফায়ার ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড, যার অন্যতম ডিরেক্টর সাক্ষী। রীতি স্পোর্টস-এ বড় অংশিদারিত্ব রয়েছে ধোনির। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে পর্যন্ত তিনি আম্রপালি গ্রুপ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন।
রীতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড-কে অর্থ দেওয়ার জন্য যে চুক্তি করা হয়েছিল তা ছিল আদতে ‘নকল’ এবং উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সরানো। অডিটে এটা প্রকাশ পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং ইউ ইউ ললিত তাঁদের ২৭০ পৃষ্ঠার নির্দেশে বলেছেন, “আমরা মনে করি আবাসন ক্রেতাদের দেওয়া অর্থ বেআইনিভাবে রীতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডে সরানো হয়েছে এবং তা তাদের থেকেই উদ্ধার করতে হবে। আমাদের মতে যে চুক্তি হয়েছিল তা বেআইনি।”