দ্রুত সংবিধান সংশোধন করে রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার দাবিতে গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই দাবি নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে নাম বদলের স্বার্থে সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধনীর দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা।
তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির অধিকারী, সুখেন্দুশেখর রায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ। তাঁরা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের নাম বদলে কেন্দ্রের সম্মতি দেওয়ার আর্জি জানান।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ থেকে বদলে বাংলা করার জন্য কয়েক বছর আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করে রাজ্য সরকার। তারপর সেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় রাজ্যের নাম সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্দল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জানতে চেয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কি বাংলা নামে অনুমোদন দিয়েছে? যদি না দিয়ে থাকে তাহলে কেন তা দেওয়া হয়নি? তা বিস্তারিত জানতে চান ঋতব্রত। কিন্তু কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কোনও অনুমোদন দেয়নি। যে হেতু অনুমোদন দেয়নি, সে হেতু এর মধ্যে বিস্তারিত কিছু জানানোর অবকাশ নেই। ওই দিন বিকেলেই মোদীকে চিঠি লেখেন মমতা। কিন্তু তারপরেও কাজ হয়নি কোনও।
কেন্দ্রের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক কারণেই রাজ্যের নাম বদলে সায় দিচ্ছে না কেন্দ্র। রাজ্য বিজেপি বারবারই রাজ্যের নাম পাল্টানোর বিরোধিতা করেছে। এই গোটা বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা এবং মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। তথাগত রায় নাম বদলের সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেছিলেন, রাজ্যের নাম বদল না করার জন্য তিনিই কেন্দ্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে অনুরোধ করেছিলেন।