কর্ণাটকের পর কি মধ্যপ্রদেশ? বর্তমান সরকার ফেলে দিয়ে আবার কি নতুন সরকার হবে? জল্পনা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। মাত্র ১৪ মাসেই অন্তরদ্বন্দ্বের জেরে জোট সরকার ভেঙে গিয়েছে কর্ণাটকে। যদিও এই ঘটনায় জোট সরকারের অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে। অভিযোগ প্রচুর টাকা দিয়ে তাঁদের বিধায়ক কিনেছে বিজেপি।
এক বছর আগে মধ্যপ্রদেশে টানটান উত্তেজনাময় নির্বাচনের পর বসপার সহযোগিতা নিয়ে সেখানে সরকার গড়ে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন কমলনাথ। কংগ্রেস আশঙ্কা করছে এবার মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ শুরু করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গবের হুমকি, ‘‘উপর মহল থেকে নির্দেশ এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার সরকার ফেলে দেব।’’ যদিও দেরি না করে কমল নাথের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘হিম্মত থাকলে অনাস্থা প্রস্তাব আনুন।’’
প্রসঙ্গত, বিগত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শিবরাজ। গত বছরই সেখানে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে বসপার সহায়তা নিয়ে ক্ষমতা দিখল করে কংগ্রেস। তবে কমলনাথ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আভ্যন্তরীণ সমস্যা চলে আসে প্রকাশ্যে। এহেন পরিস্থিতিতেই কর্ণাটকের উদাহরণ তুলে মধ্যপ্রদেশেও যে একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমনটাই দাবি করে, নিজেকে আগে থেকে বিতর্ক মুক্ত রাখলেন শিবরাজ।
উল্লেখ্য, ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। তাতে কংগ্রেস ১১৪টি আসন পায়। ম্যাজিক ফিগার ১১৬। বিজেপির দখলে যায় ১০৯টি আসন। নির্দলের চার জন, বিএসপির ২ জন এবং এসপি-র এক বিধায়কের সমর্থনে ম্যাজিক ফিগারের থেকে মাত্র ছ’টি বেশি আসন (১২১) নিয়ে বিজেপিকে সরিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ।