সুভাষচন্দ্র বসু আর গুমনামি বাবা একই মানুষ কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলই। গুমনামি বাবা এমন একটা চরিত্র যা এতগুলি বছর ধরে চূড়ান্ত কৌতূহল জিইয়ে রেখেছে দেশবাসীর মনে। কে এই গুমনামি বাবা? অনেকে এটাই বিশ্বাস করেন যে ইনিই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। অকাট্য প্রমাণের অভাবে তা ধন্দের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে। কিন্তু গুমনামি বাবার আসল পরিচয় বের করে আনতে তৈরি হয়েছিল একটি কমিশন। ২০১৬-য় একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে এই কমিশন গঠন করে তত্কালীন সমাজবাদী পার্টির সরকার।
এই বিষয়ে কমিশনও কোনও উপসংহার দিতে পারল না। আক্ষরিক অর্থে বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের কমিশন বলতে পারল না যে এই গুমনামি বাবাই নেতাজি কিনা! কমিশন এই বিষয়ে নিশ্চিত নয় বলে তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভায় এই রিপোর্টটি পেশ করা হয়।
তবে নেতাজি ও গুমনামি বাবার মধ্যে বেশ কিছু সাদৃশ্যের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। নেতাজি বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ছাড়া আরও তিনটি ভাষায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন। গুমনামি বাবাও বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি সেই তিনটি ভাষা ভালো ভাবে জানতেন। তবে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে ১৯৮৫ সালে গুমনামি বাবা মারা যান। সেই সময় তাঁকে যারা দেখেছিলেন, এতদিন পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা সম্ভব নয়। যদিও তার আক্ষরিক কোনও প্রমাণ নেই, তবুও সময়ের ওপর ভিত্তি করে তাঁকেই নেতাজি হিসেবে মেনে নিয়েছেন অনেকেই। নেতাজিকে নিয়ে একাধিক সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ বানানো হলেও আসল ধন্দ এখনও বর্তমান।