গণপিটুনি ইস্যুতে মুখ খুলে ফের বিতর্ক সৃষ্টি করলেন মেঘালয়ের গভর্নর তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে বিদ্বজ্জনদের পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গেই এবার ধর্মের রাজনীতি টেনে আনলেন তিনি। টুইটারে জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া। বুধবার মব লিঞ্চিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বাংলা থেকে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অপর্না সেন, কৌশিক সেন, শুভা মুদগল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অপর্না সেন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, জোর করে কেন কাউকে জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্য করা হবে। সর্বস্তরে এর প্রতিবাদ করা দরকার।
বুধবার সকাল থেকে যখন এই খবরে সরগরম রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি, ঠিক সেই সময়েই আবার বোমা ফাটালেন তথাগত রায়। এদিন একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। তারমধ্যেই একটিতে লিখেছেন, ‘এদের মধ্যে কেউ আল্লা হু আকবর ধ্বনির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। অথচ এটাই সবথেকে বড় রণধ্বনি। যার জন্য হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের বর্ণাও দিয়েছেন তথাগত। তিনি আরও লিখেছেন, ‘সস্তার পাবলিসিটির জন্যই কিছু মানুষ এসব বলছে। এরা ইতিহাস ভুলে গিয়েছে।’
এই বিশিষ্টজনেদের তালিকায় যেমন সিনেমার তারকারা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন সমাজকর্মী, ডাক্তার, লেখক, ঐতিহাসিক, সাধারণ নাগরিক সহ মোটা ৪৯ জন৷ চিত্র পরিচালক কেতন মেহতা, অঞ্জন দত্ত, অনুপম রায়, আদুর গোপালকৃষ্ণণ, রূপম ইসলাম, ঋদ্ধি সেন, ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ, সংগীতশিল্পী শুভা মুদগল সহ প্রমুখ ব্যক্তিরা সই করেছেন এই চিঠিতে।
বুধবার ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি একাধিক সামাজিক বিষয় উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এই চিঠিতে৷ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আর্জিও জানিয়েছেন৷ চিঠিতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ২৫৪ জনকে অপরাধী, ৯১ জন হত্যা, ৫৭৯ জন আহত হয়৷’ চিঠি অনুযায়ী, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে যখন নরেন্দ্র মোদী ছিলেন তখন এমনই অপরাধের মাত্রা ছিল ৯০ শতাংশ৷ এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।