লোকসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই যেন নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে কংগ্রেস দলকে। সভাপতির পদ থেকে রাহুল ইস্তফা দিয়েছেন বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে কে কংগ্রেসের মুখ হবেন সেই নিয়ে এখনও ধন্দেই আছেন কংগ্রেস নেতারা। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন। সোনভদ্রার হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের পাশে থেকে ধর্নায় বসে বেশ ভালো মতোই ছাপ ফেলতে পেরেছেন তিনি। এমতবস্থায় রাহুলের বোনকেই কংগ্রেসের সভানেত্রীর পদে দেখতে চাইছেন বিজেপি ত্যাগী কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।
সোনিয়া কন্যা যেভাবে মাটি কামড়ে রাজনীতি করছেন তাতে বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছেন পাটনা সাহিবের প্রাক্তন সাংসদ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মুখের গঠনের পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রেও প্রিয়াঙ্কাকে দেখে ইন্দিরার কথাই মনে পড়ছে শত্রুঘ্নর। সেই কারণে নির্দ্বিধায় তিনি জানাচ্ছেন, পরবর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী হওয়ার জন্য আদর্শ বিকল্প এখন প্রিয়াঙ্কাই। নিজের টুইটারে শত্রুঘ্ন লিখেছেন এই কথা। তিনি লেখেন, “গতকাল ও তার আগের দিন সোনভদ্রা কাণ্ডের পর যে জনপ্রিয়, নির্ভিক ও সাহসী প্রিয়াঙ্কাকে দেখলাম, তা আমায় গ্রেট ম্যাডাম গান্ধীর (ইন্দিরা) কথা মনে করাল। তিনিও নিজের সময়ে এভাবেই কাজ করতেন। প্রিয়াঙ্কাও তেমনটাই করছেন। ওই কংগ্রেসের যোগ্য উত্তরসূরী বলে করি আমি।”
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পরই ব্যর্থতার দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। অনেক টালবাহানার পর তিনি ইস্তফাও দেন। কিন্তু তারপর থেকে এখনো অবধি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব রাহুলের বিকল্প হিসেবে পরবর্তী সভাপতি ঠিক করে উঠতে পারেননি। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ দাবি করা হচ্ছিল, রাহুল চেয়েছেন যেন গান্ধী পরিবার বহির্ভূত কেউ কংগ্রেসের শীর্ষ পদে আসীন হন। ফলে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরেই দেশের বিরোধী দলের সর্বোচ্চ পদ নিয়ে জট চলছে। কিন্তু শীর্ষ নেতারা সেই কথা মানতে নারাজ। তাঁরা চাইছেন গান্ধী পরিবার থেকেই কাউকে সভাপতি করা হোক। আর সেক্ষেত্রে প্রিয়াঙ্কার নামই উঠে আসছে সবার উপরে।এবার দেখার, এই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয়।