রিচি বেনোর পর আরও একজন বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠস্বর এখন আর আমরা শুনতে পারব না। সেই বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার ডেভিড গাওয়ার। বয়স হওয়ার কারণে ইয়ান চ্যাপেলকে যেমন অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট ধারাভাষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক সে কারণেই ডেভিড গাওয়ারকে আগামী মরশুম থেকে স্কাই স্পোর্টস চ্যানেলে আর ধারাভাষ্য দিতে দেখা যাবে না। তাঁর জায়গায় মুখ্য সঞ্চালকের ভূমিকায় আসবেন এক বঙ্গললনানা, ঈশা গুহ।
ধারাভাষ্যকারের জীবন শেষ হয়ে আসা ডেভিড গাওয়ার জানালেন, “এখনও তো আছি! আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজটার পর ছেড়ে দিতে হবে। যেভাবেই এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, আমাকে যে আর স্কাই স্পোর্টস বক্সে ধারাভাষ্য দিতে হবে না, এই মরশুমই শেষ, সেটা আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলতে পারেন, পাকাপাকিভাবে অবসর জীবনে ঢুকে পড়ছি। তবে আমাদের দেশে এখন ক্রিকেটের জোয়ার। বিশ্বকাপ জিতেছে। এখন তো অ্যাশেজ সিরিজ জেতার ব্যাপারেও আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করছি”।
শুধু জেসন রয় নন, ডেভিড এখন মজে আছেন বেন স্টোকসেও, ‘ইয়ান বথামের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে স্টোকসের। আমি তো বথামের সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলেছি। তাই জানি, ব্যাট ও বল হাতে কীভাবে ও বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করেছে ম্যাচের পর ম্যাচ। স্টোকস শুরু করল ভাল। বিশ্বকাপটা এনে দিয়েছে। হয়তো অনেকেই খেলেছে। তবে, স্টোকস যেভাবে ফাইনালে মূল ইনিংস এবং সুপার ওভারে ব্যাট করেছে, তা হল এককথায় অনবদ্য।
তবে সব শেষে ডেভিড গাওয়ারের মতো দুর্দান্ত কণ্ঠস্বর, আভিজাত্যে মোড়া বাচনভঙ্গি, বিশেষজ্ঞ হিসেবে কম কথায় আসল কথাটা বলে ফেলতেন এবং সঞ্চালক হিসেবে গোটা অনুষ্ঠানটা যেভাবে উপভোগ্য করে তুলতেন, তা সত্যিই ধারাভাষ্য জগতে বিরল। ব্যাট করার সময় আলস্যে ভরা যে আভিজাত্য দেখাতেন, ঠিক সেভাবেই কমেন্ট্রি বক্সেও নিয়ে এসেছিলেন এক আলগা চটক, যা কিনা ডেভিড গাওয়ারীয় ঘরানা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।